হাকিমপুর প্রতিনিধি\ দিনাজপুরের হিলিতে প্রচন্ড খরা ও তাপদাহে লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে তবুও কীটনাশক স্প্রে ও বাড়তি সেচ দিয়েও গুটি ঝরা রোধ করা যাচ্ছে না। প্রতিটি গাছের ৪০-৫০ ভাগ গুটি ঝরে গেছে। ফলে লিচুর ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা। এবার প্রচন্ড খরায় লিচুর গুটি শুকিয়ে যাওয়ায় আকার ছোট হতে পারে। একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে লিচু না পাকার আশঙ্কাও করছেন চাষিরা। তবে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
রসালো ও সুস্বাদু লিচুর জন্য বিখ্যাত উত্তরের জেলা দিনাজপুর। লিচু গাছের দিকে তাকালেই চোখে পড়ে মার্বেলের মতো সবুজ গুটি। এ গুটি বড় হয়েই লালচে রং ধারণ করবে এবং পাকতে শুরু করবে। কিন্তু এ বছর প্রচন্ড দাবদাহে এবং মাঝে মাঝে বৃষ্টি ও হালকা ঝড়ের কারনে লিচুর এসব সবুজ গুটি ঝরে পড়ছে। এ বছর প্রতিটি গাছে রেকর্ড পরিমাণ মুকুল এসেছিল। মুকুল থেকে গুটিও বেশ ভালো হয়েছিল।তাই এবার চাষিরা লিচুর ভালো ফলনের আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলেও তা কাজে আসছে না। তাই লিচু চাষিদের স্বপ্নভঙ্গের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
লিচু চাষী আসলাম হোসেন বলেন,লিচু গাছের ৪০-৫০ ভাগ লিচুর গুটি ঝরে পড়েছে। লিচু গাছের নিচে মার্বেল আকারের শত শত লিচুর সবুজ গুটি ঝরে পড়ে আছে। চাষিরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী লিচু বাগান পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবহার করছেন। কিন্তু তাপদাহের কারণে কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না লিচুর গুটি ঝরা। বৃষ্টি হচ্ছে তবুও ঝড়ছে লিচুর গুটি।ি এছাড়াও প্রতিটি লিচু গাছের ওপর পানি ছিটিয়ে দিচ্ছেন তবুও প্রতিদিন অস্বাভাবিকভাবে গুটি ঝরেই যাচ্ছে।
ভক্সপপঃ কৃষক ও শ্রমিক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হিলিতে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। ঝড় এবং তাপদাহের কারণে লিচুর গুটি ঝরে পড়ায় ফলন কিছুটা কমে যাবে। আবহাওয়া ভাল থাকলে ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারবেন লিচু চাষীরা। সেই সাথে নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে গিয়ে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের পরামর্শ।