“ধর্ম-বর্ণ জাতির উর্ধ্বে জাগোরে নবীন প্রাণ”-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নজরুল পরিষদ দিনাজপুরের আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্ম জয়ন্তী পালিত হয়েছে দিনাজপুর নাট্য সমিতির মঞ্চে।
নজরুল পরিষদ দিনাজপুরের সভাপতি বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাঃ শহীদুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নজরুল পরিষদের সাধারন সম্পাদক নিজামউদ্দীন রয়েল। “অসাম্প্রদায়িক ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম”-শীর্ষক আলোচনা সভায় আলোচনা করেন দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও কবি-গবেষক আলী ছায়েদ, কবি ও প্রাবন্ধিক মাসুদ মুস্তাফিজ, কবি ও কথা সাহিত্যিক আজাদ কালাম, আদর্শ কলেজের প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, কবি প্রফেসর কামরুজ্জামান গোপন, নজরুল পরিষদের সহ-সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। কবিতা পাঠ করেন মোঃ ইরফান আলী চৌধুরী, প্রফেসর নুরে আলম সিদ্দিকী রনি, শামীম রাজা, কবি অদীতি রায়, কবি নিরঞ্জন হিরা। বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী সুজন কুমার দে’র পরিচালনায় শিল্পীরা সমাবেত সংগীত পরিবেশন করে। নজরুল পরিষদের সভাপতি ডাঃ শহীদুল ইসলাম খান এর পরিচালনায় একক সঙ্গীত পরিচালনা করেন রেখা সাহা, পম্পী সরকার, নিজামউদ্দীন রয়েল, ডাঃ শহিদুল ইসলাম খান, সুজন দে, মনিষা সরকার, শিমূল কর্মকার। পল্লব সরকারের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করে কৃতি রায়, মুগ্ধ রায়, বর্ণমালা ইসলাম। তবলায় ছিলেন লোটন সরকার, আলোকেশ^র অধিকারী, কী-বোর্ডে পলাশ দাস। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলা সাহিত্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আগমন একজন বীরের মত। শ্যামের কবি-বিরহ বেদনার কবি, বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আমরা বুকে লালন ও ধারণ করব। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন মানবতার কবি, অসাম্প্রদায়ীক চেতনার কবি। তাইতো তিনি লিখেছেন “উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ^ বিধাতৃর……।