দিনাজপুর অঞ্চলের এক সময়ের খর¯্রােতা আত্রাই নদীর চরে এখন চলছে কুমড়া চাষ। মনে হবে নদীর চরে কুমড়া বাড়ী। কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই বানিজ্যিকভাবে কুমড়া চাষ করে ব্যাপক লাভবানের আশা ছয় কৃষকের। কুমড়া চাষে সফলতায় ওই অঞ্চলের সকলে নদীর দু-মুখো ঘাট এলাকার চরটিকে এখন কুমড়া বাড়ী বলেই ডাকেন। চরের ৪/৫ একর এ এখন কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হচ্ছে। তবে নদীর দুইপারের চরেই চলছে কুমড়া সহ বিভিন্ন চাষ।
কানচন, তাপস, মোহন, মিঠুন দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউপির ঝানঝিরা বাশগাড়ি সাওতাল এলাকার অধিবাসী। তারা নদীর চরে চাষ করেন এবং নিজেরাই সেই কুমড়া বিক্রি করেন। এ চাষেই তারা সংসার স্বচ্ছলভাবে চালাচ্ছেন। এবারও ভালো লাভবানের আশা করছেন তারা।
কানচন, তাপস, মোহন, মিঠুনসহ ছয় কৃষক আত্রাই নদীর চরের এবার ৪/৫একর জমিতে কুমড়া চাষ করছেন। এর ৮বিঘা জমিতে বানিজ্যিকভাবে কুমড়া চাষে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০/২৫হাজার টাকা। এবং এখানে পরচুর জৈব সার ব্যাবহার করা করেছে। আর এই চরের ক্ষেত হতে ১ লাখ টাকার অধিক কুমড়া বিক্রয়ের আশা করছেন তারা।
কানচন, তাপস রায়, মোহন রায়, মিঠুন রায় জানান, খর¯্রােতা আত্রাই নদীর এ চরে কার্তিক মাস থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত ভালভাবে চাষ করা যায়। সামান্য পরিচর্যা ছাড়া কোন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। উৎপাদিত কুমড়া দিনাজপুরের আশ-পাশের জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকায় পাইকারী বাজারে সরাসরি বিক্রয় করি। কুমড়া এ মাসের ২য় সপ্তাহ থেকেই বিক্রি করতে পারবো। এ চরে তরমুজ চাষও করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, কৃষি বিষয়ে তেমন কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলনা। তবে ধান চাষ করি। কিন্তু কুমড়া চাষে বেশী লাভবান হওয়ায় এখন কুমড়া চাষ করি।