বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি \ স্বামী হারা সখিনা বেওয়া এই নামটি যেন কষ্টের আর সংগ্রামের প্রতীক। গতরাতের টানা ভারী বৃষ্টিতে, নিজের ভাঙাচোরা কুঁড়েঘরের এক কোণায় পলিথিন মুড়ে বসেছিলেন তিনি। ছাদ চুঁইয়ে পড়া পানিতে ভিজে যাচ্ছিল সব কিছুতবুও আশ্রয় বলতে এইটুকুই!
একটি জীবন যেখানে নেই নিরাপদ ছাদ, নেই ঘুমানোর বিছানা, নেই স্বস্তির নিঃশ্বাস। সরেজমিনে দেখা যায়, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের গোপালপুর গ্রামের এক প্রান্তে, জরাজীর্ণ একটি বসতবাড়িতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন ছকিনা বেগম। বসবাসের মতো ঘর নেই, মাথার উপর নেই কোনো নিরাপদ ছাদ। পুরোনো কাঠ ও টিনের খÐে জোড়া দেওয়া সেই ঘরটিতেও আশ্রয় নেওয়া সম্ভব হয় না বর্ষাকালে। বাধ্য হয়ে প্লাস্টিকের ছাউনির নিচেই কাটে তার রাতের ঘুম। অসহায় ভুক্তভোগী ছকিনা বেগম জানান, আমার স্বামী ১৮ বছর আগে মারা গেছে পাশে কেউ নেই, রাতে ঘুমাতে খুব কষ্ট হয়, আমাকে এভাবে জীবন যাপন করতে হয় সারাদিন একবার রান্না করি মানুষের কাজ করে খাবার জোগায়।
ছকিনার প্রিয়জনের মধ্যে আছে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে মো সৈয়দ আলী ও মা ছাড়া এক নাতি মো আরমান আলী । দারিদ্র্যতার করাল গ্রাসে পড়ে ছকিনার পরিবারের জীবন একপ্রকার থমকে গেছে।কোনো সরকারি সহায়তা না পেয়ে, তিনি দিনের পর দিন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, বছরের পর বছর ধরে ছকিনা এই দুর্বস্থায় আছেন। সরকারি কোনো নজর এখনো পড়েনি তার ওপর। এখন স্থানীয়দের দাবি, ছকিনার মতো অসহায় মানুষদের জন্য দ্রæত প্রয়োজনীয় সহায়তা ও একটি নিরাপদ বাসস্থানের খুব জুরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।