দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিনাজপুর মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল (বাংলা স্কুল)’র শিক্ষক কর্মচারীরা পৌরসভা কর্তৃক প্রদেয় বেতন ভাতাদির অংশ দীর্ঘ ২৮ মাস ধরে না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
জানা গেছে জুলাই বিপ্লবের পরে পৌর পরিষদ ভেঙ্গে দিলে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তৎকালীন এডিসি (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর-এ-আলম। তিনি কি এক অজ্ঞাত কারণে ২৩/০১/২০২৪ইং তারিখে পৌরসভার মাসিক মিটিং এ পৌরসভা কর্তৃক প্রদেয় অংশ পৌরসভার রাজস্ব তহবিল হতে প্রদান করা হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এছাড়া উক্ত মিটিং এ তিনি নির্দেশ দেন অবিলম্বে শিক্ষ-কর্মচারীদের ২৮ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার। অথচ সারা বাংলাদেশে পৌরসভা কর্তৃক পরিচালিত বিদ্যালয় সমূহের বেতন ভাতাদি বন্ধ করা হয়নি। বাংলাদেশ সরকারের গ্যাজেট অনুযায়ী পৌরসভা কর্তৃক ইতিপূর্বে স্থাপিত বিদ্যালয় রক্ষনাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মান অনুযায়ী কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য দায়ি থাকিবে। অথচ পৌরসভা উক্ত গ্যাজেটের আদেশ উপেক্ষা করে ২৮ মাস ধরে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ করে রেখেছে। এব্যাপারে শিক্ষকরা সুবিচার চেয়ে মহামান্য হাই কোর্টের রিটপিটিশন দাখিল করেন। যার নং-১৩৯২৯/২০২৪। বর্তমানে স্কুলের ২৩ জন শিক্ষক কর্মচারী তাদের পরিবারের প্রায় দেড়শত সদস্য মানবেতর জীবন যাপন করছে। উল্লেখ্য, যখন স্কুলের মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক কর্মচারীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্কুলের পুরাতন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন ঠিক সেই সময় তাদের অর্থনৈতিকভাবে মানসিক চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ থেকে শিক্ষক কর্মচারীরা দ্রæত পরিত্রাণ না পেলে স্কুলের শিক্ষার মানউন্নয়ন ব্যহত হবে মনে করছেন দিনাজপুরের সুধি সমাজ।