জাতীয় শিশুকিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসর, দিনাজপুর শাখা-এর উদ্যোগে শিশুদের নিয়ে আয়োজিত সাতার শেখা কর্মসূচি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিশুদের শারীরিক বিকাশ, মানসিক দৃঢ়তা এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
এ আয়োজনে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিশু সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। তাদের উৎসাহ ও প্রাণবন্ত উপস্থিতি পুরো কর্মসূচিকে আরও আনন্দঘন করে তোলে।
ফুলকুঁড়ি আসর দিনাজপুর শাখার পরিচালক কামরুজ্জামান সুমন-এর ব্যবস্থাপনায় এবং সহকারী পরিচালক আবু তাহের-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে স্থানীয় শিশুদের অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুলকুঁড়ি আসরের প্রাক্তন পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং মাহফুজুর রহমান। তাঁরা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান এবং অভিভাবকদের সাথেও মতবিনিময় করেন। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে শিশুদের সার্বিক বিকাশে এ ধরনের উদ্যোগের গুরুত্ব। তাঁরা বলেন, ফুলকুঁড়ি আসর শুধু সাংগঠনিক কার্যক্রমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং শিশুদের নৈতিক শিক্ষা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও নিয়মিতভাবে কাজ করছে।
অতিথিরা আরও উল্লেখ করেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদের ছোটবেলা থেকেই ইতিবাচক কর্মকাÐে যুক্ত করা প্রয়োজন। খেলাধুলা, ক্রীড়া ও সামাজিক কর্মকাÐ শিশুদের জীবন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফুলকুঁড়ি আসরের এ আয়োজন সেই প্রয়াসেরই একটি দৃষ্টান্ত।
কর্মসূচি সার্বিকভাবে বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন শাখার অফিস সম্পাদক মুসাব্বির হোসেন, পত্রিকা সম্পাদক রাকিব রনি এবং অর্থ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম। তাঁদের নিবিড় প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় শিশুদের অংশগ্রহণ আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
অভিভাবকেরা এ ধরনের আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শিশুদের বিকাশে সাতার শেখার মতো কর্মসূচি খুবই প্রয়োজনীয়। নিয়মিত এমন উদ্যোগ হলে শিশুরা শুধু শারীরিকভাবে সবলই হবে না, বরং তাদের মানসিক ও নৈতিক উন্নতিও ঘটবে।
সার্বিকভাবে ফুলকুঁড়ি আসরের এই আয়োজন দিনাজপুরে শিশুদের জন্য একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে সংগঠনটির কর্মকাÐ শিশুদের নৈতিক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিকাশের পাশাপাশি সমাজে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে।