বৃহস্পতিবার , ২১ আগস্ট ২০২৫ | ৬ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে মালবাহী ট্রেনে বালু পরিবহণ সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত হলেও রেল সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম আর ঘুষ বাণিজ্যের কারণে ব্যাহত হওয়ার শংকা

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
আগস্ট ২১, ২০২৫ ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি\পাশ্ববর্তি দেশ ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলে প্রতি বর্ষায় পঞ্চগড়ের নদ-নদী ভরে যায় নুড়ি পাথর আর বালুতে। আর নদী থেকে পাথর বালু সংগ্রহ করে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান পাথর-বালু ব্যবসায়ীরা। নির্মান কাজের জন্য পঞ্চগড়ের বালু অনেক ভাল উপযোগি হওয়ায় এখানকার বালুর চাহিদা রয়েছে সারাদেশে। কিন্তু ট্রাকে করে বালু পরিবহণ করতে অনেক ভাড়া গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। এতে করে বেড়ে যায় বালুর দামও। আশার কথা হল সম্প্রতি পঞ্চগড় থেকে মালবাহী ট্রেনে করে বালু পরিবহন শুরু হওয়ায় নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে জেলার অন্যতম এই অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে। তবে শুরু হতে না হতেই স্টেশন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম আর ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মালবাহী ট্রেন ব্যবস্থাপনার জন্য ট্রেন প্রতি মোটা অংকের ঘুষ দিতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের।
ব্যবসায়ীরা জানান, নদী থেকে তোলা ১০-১৫ হাজার টাকার বালু ১০ চাকার ট্রাকে ঢাকা, গাজীপুর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, নওগাঁ, বগুড়ায় পরিবহন করতে গুনতে হয় ৪০-৪৫ হাজার টাকা। অনেক সময় ট্রাক পাওয়া যায় না। তখন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে রেলপথে একই পরিমাণ বালু পরিবহনে খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। যমুনা সেতু দিয়ে সরাসরি রেলপথে পঞ্চগড় থেকে ঢাকা পর্যন্ত বালু পাঠানো গেলে পরিবহন খরচ ২০-২৫ শতাংশ কমে যায়। ঢাকনাওয়ালা এবং ঢাকনা বিহীন খোলা দুটি মালবাহি ট্রেনের ৩০টি ওয়াগনে বালু পরিবহন করা হয়। এসব ওয়াগনের ধারণ ক্ষমতা ৫৫ মেট্রিক টন। ভেজা বালু ২৮ ইঞ্চি এবং শুকনো বালু ৩৫ ইঞ্চি উচ্চতায় নির্ধারিত দাগে প্রত্যেকটি ওয়াগনে বালু লোড দেয় শ্রমিকরা। তবে ধারণ ক্ষমতা ৫৫ মেট্রিক টন হলেও ট্রেন চলাচলের সময় ঝাঁকি খেয়ে পরিমাপের স্কেলে বালুর পরিমান কমে যায়। এ জন্য ব্যবসায়ীরা কয়েক ইঞ্চি ওভার লোড করে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আন্তদেশীয় বালূু আমদানীকারক ও কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী প্রত্যেক বগিতে অতিরিক্ত ৩০ থেকে ৩৫ মেট্রিক টন বালু পরিবহন করে। এতে করে মালবাহী ট্রেনগুলো যান্ত্রিক ঝুঁকিতে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে প্রতি মালবাহি ট্রেন থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকরা বলছেন ট্রেনে করে বালু পরিবহন শুরু হওয়ার পর অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। পঞ্চগড়ের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু অসাধু কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীর কারণে বালু পরিবহন বন্ধ হয়ে গেলে সরকার যেমন রাজস্ব হারাবে তেমনি অনেক মানুষের কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রবি হাসান জানান, ওভার লোডে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি খুব দুঃখজনক। রেলে বালুর ব্যবসা শুরু হওয়ায় ষ্টেশনে সকলের মধ্যে উৎসাহ শুরু হয়েছে। কিন্তু এভাবে দুর্নীতি শুরু হলে একসময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে বালু পরিবহন। তখন আমরা সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ হব। আমরা চাই স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হোক। অন্যদিকে বালু পাথর সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান এস এস ট্রেডার্সের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান মুঠো ফোনে জানান, অতিরিক্ত লোড করা হয়না। এজন্য কাউকে ঘুষ প্রদান করা হয়না। স্বচ্ছ ভাবেই আমরা বালু নিয়ে আসছি।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভারপ্রাপ্ত স্টেষন ইনচার্জ জাহেদুল ইসলাম, জুনিয়র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোশারফ হোসেন। তারা জানান, মালবাহী পরিবহনে অতিরিক্ত বালু লোড করা হয়না। কিছু ব্যবসায়ী অবৈধ সুযোগ নেয়ার জন্য এমন রটনা ছড়িয়েছে। এখানে ঘুষ বাণিজ্য হয়না। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে বালু পরিবহন করা হচ্ছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

বোদায় যুবদলের কর্মী সভার পাশে ককটেল বিস্ফোরণ চারটি তাজা ককটেল উদ্ধার, আহত তিন, গ্রেপ্তার দুই

জুতা অনুসরণ করে কবরস্থানে  গিয়ে মিলল গৃহবধূর ম-রদে-হ

জুতা অনুসরণ করে কবরস্থানে গিয়ে মিলল গৃহবধূর ম-রদে-হ

বোচাগঞ্জে শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতর নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি সভায় বিশেষ ট্রেনেসহ ঈদগাহ মাঠজুড়ে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা

হরিপুরে সাপের কামড়ে এক নারীর মৃত্যু

ঘোড়াঘাটে মাসব্যাপী সেলাই প্রশিক্ষণের সমাপনী

টানা বৃষ্টিতে বেহাল দশা বীরগঞ্জের গ্রামীণ কাঁচা সড়কগুলো

ঠাকুরগাঁওয়ে চার্জার রিক্সা প্রচুর বিদ্যুৎ টানছে !

দিনাজপুরে চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ২ লাখ টাকা জরিমানা

পীরগঞ্জে শিশু অধিকার বিষয়ক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত