শনিবার , ৩১ অক্টোবর ২০২০ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঁচে থাকিতে মুই কি আর বয়স্ক ভাতা পাম বাহে!

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
অক্টোবর ৩১, ২০২০ ৪:৫৮ অপরাহ্ণ

সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর নাফানগর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে ছোট সুলতানপুর গ্রামের অনেশ চন্দ্র রায়ের বয়স ৬৬ বছর। ভাগ্যে এখনো জটেনি বয়স্ক ভাতা। তার আক্ষেপ বাঁচে থাকিতে কি মুই আর বয়স্ক ভাতা পাম বাহে। অনেশ চন্দ্র রায় একসময় ছকরার কাজ করতেন। শরীর না চলায় ২ বছর যাবত কাজ করতে পারেনা। একসময় মানুষের জমি চুক্তা নিয়ে চাষাবাদ করেছিল। সেই চুক্তা জমিও আর নেই। জমির মালিক জমি বিক্রয় করে দেওয়াতে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সংসারে অভাব দেখা দিয়েছে। সরকারি কোনো সহায়তা পান নি তিনি। তার ২ ছেলে ৩ মেয়ে। সব মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলেগুলো বিভিন্ন জায়গায় দিনমজুর কাজ করে কোন রকম সংসার চলে। অনেশ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী বর্তমানে অসুস্থ। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারে না। সংসারে অভাব অনটন লেগেই আছে। অনেশ চন্দ্র রায় বলেন,একসময় পনে দুই বিঘা জমি চুক্তা নিয়ে আবাদ করছিনো বাপু। যার জমি মালিক বিক্রয় করে দিছে। এখন চলার মত আমার কিছু নাই। কেউ যদি ১০ বা ৫ টাকা দয়া করে দেয় এই নিয়ে চলি। সরকার যদি আমাক দয়া সরুপ বয়স্ক ভাতা দেয় তাহলে আমার অনেক উপকার হবে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছতো ঘুরতে ঘুরতে দিন গেইল কাহও একখান কার্ড করে দিল নাই। মুই এলা কুনঠে যাম তোমরা কহ বারে।
নাফানগর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে মেম্বার নবাব বলেন, অনেশ চন্দ্র রায় আমার কাছে আসছিল। কিন্তু আমরা বরাদ্দ পাই কম। তবে এর পর আসলে করে দিবো। নাফানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.শাহনেয়াজ পারভেজ শাহান বলেন,আবেদন দেওয়া আছে। লিস্টে নামও আছে। সামনের তালিকায় পাবে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত