পীরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ রেল স্টেশন কাউন্টার থেকে সাধারণ যাত্রীদের কাছে ঢাকাগামী ট্রেনের টিকিট বিক্রি করায় স্টেশন মাস্টারের উপর চড়াও হয়ে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে টিকিট কালোবাজারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা। প্রাণ ভয়ে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়ে প্রশাসনের দারস্থ হয়েছেন স্টেশন মাস্টার রবিউল ইসলাম। বুধবার সকাল ১১টার দিকে রেল স্টেশন কাউন্টার থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের টিকিট বিক্রির সময় এ ঘটনা ঘটে।
পীরগঞ্জ রেল স্টেশনের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার রবিউল ইসলাম জানান, বুধবার সকাল ১১টার দিকে আগামী ২০ জুনের ঢাকাগামী আন্তঃনগর দ্রæতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট স্টেশন কাউন্টার থেকে বিক্রি শুরু করেন তিনি। সাধারণ যাত্রীর কাছে কয়েকটি টিকিট বিক্রির পর পরই টিকিট কালোবাজারী চক্রের কয়েকজন লোক এসে সাধারণ যাত্রীদের হটিয়ে দিয়ে একেক জন চার/পাঁচটা করে টিকিট দাবী করে এবং সাধারণ যাত্রীদের নিকট টিকিট বিক্রি না করার জন্য স্টেশন মাস্টার কে চাপ দেন। স্টেশন মাস্টার রবিউল ইসলাম এর প্রতিবাদ করলে তারা তাঁর উপড় চড়াও হয় এবং তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। কালোবাজারীদের হুমকি ধামকিতে প্রাণ ভয়ে তাৎক্ষনিক টিকিট বিক্রি বন্ধ করে এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন মহলের সরণাপন্ন হন স্টেশন মাস্টার। এতে স্টেশন চত্ত¡র থেকে সটকে পড়ে টিকিট কালোবাজারীরা। ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম স্টেশনে আসেন। তিনি ঘটনার কথা শুনেন এবং নির্ভয়ে সাধারণ যাত্রীদের নিকট টিকিট বিক্রি করার জন্য স্টেশন মাস্টারকে নির্দেশনা দিয়ে এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগীতা করার আশ্বাস দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, বিষয়টি জানার পরে তিনি স্টেশনে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে টিকিট বিক্রির সময় স্টেশনে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা স্টেশনে উপস্থিত থাকবে। প্রয়োজনে টিকিট কালোবাজারীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পীরগঞ্জ স্টেশনে ৫শ টাকার ট্রেনের টিকিট ১২শ টাকায় বিক্রি করা সংক্রান্ত সংবাদ সম্প্রতি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকা সহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। স্টেশনের টিকিট কালোবাজারীর দখলে এই সংক্রান্ত খবর জানতে পেরে স্টেশন মাস্টার মোক্তার হোসেনকে পীরগঞ্জ স্টেশন থেকে প্রেসনে বগুড়ার সোনাতলা স্টেশনে বদলী করেন রেল কর্তৃপক্ষ।