ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের ডিসি পর্যটন পার্কে যুক্ত হলো স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী চত্বর।
শনিবার বিকেলে এই চত্বরের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম। এসময় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়েছে একাত্বতা প্রকাশ করেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন-পুলিশ সুপার মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, সিভিল সার্জন ডা: মাহফুজার রহমান সরকার, ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড.মুহম্মদ শহীদ উজ জামান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, শিক্ষাবীদ অধ্যক্ষ মনতোষ কুমার, জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি মাহাবুবুর রহমান খোকন, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ডিসি পর্যটন পার্ক ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত। এরমধ্যে মুজিব চত্বর যুক্ত করা হয়েছে। আজ যুক্ত হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী চত্বর। এই পার্কে নতুন প্রজম্ন এসে জানতে পারবে বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা সম্পর্কে। জানতে পারবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে। শিশুদের মানসিক বিকাশে বেড়ে ওঠার পাশাপাশি দেশ ও এদেশের মহানায়ক জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চিনবে এবং জানবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী হলো ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর নয়মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরপূর্তি পালনের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃৃক ঘোষিত একটি বার্ষিক পরিকল্পনা। সরকার ২৬ মার্চ ২০২১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের ঘোষণা দিয়েছে। শোষণ–বঞ্চনার পথ পেরিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত যে দেশ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র তকমা নিয়ে শুরু করেছিল যাত্রা; সেই বাংলাদেশ উন্নতির গতিতে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে পূর্ণ করল ৫০ বছর।
এরই অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁওয়ে নবনির্মিত ডিসি পর্যটন পর্কে যুক্ত করা হলো বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী চত্বর। জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে নির্মিত হয় এই চত্বরটি। এটি ডিজাইন করে ইউনিটি ডিজাইন এন্ড কন্সট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্টানের কর্ণধার উদীয়মান আর্কিটেক মাহমুদুল হাসান শাহীন বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বাংঙালী জাতীর জন্য ঐতিহাসিক মাইল ফলক। যা আমাদের সকলের জন্য গৌরবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী চত্বরের ডিজাইনে সমবাহু ত্রিভুজে তিনটি কালকে বোঝানো হয়েছে। এখানে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় এবং বর্তমান উন্নয়নশীল দেশে পদার্পনকে বোঝানো হয়েছে । যার মাধ্যমে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণতাকে স্মরনীয় করে রাখা হয়েছে বলে জানান উদীয়মান এই আর্কিটেক।