বিকাশ ঘোষ , বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ॥ ঈদের দিন যতই ঘুনিয়ে আসছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা ততই বাড়ছে খামারিদের। মহামারী করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরেও ব্যবসা করতে পারেনি ¯স্থানীয় গরু“ খামারি ও ব্যবসায়ীরা। এবার কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে লাভের আশা পশু পালন করলেও করোনা বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত কঠিন বিধি নিষেধ আরোপ এবং ¯স্থানীয় ভাবে গরু“ হাট বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে গরু খামারীরা। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সুত্রে জানা গেছে, নিবন্ধিত গাভীর খামার রয়েছে ১১৩টি এবং ছাগলের খামার রয়েছে ০৯টি। অনিবন্ধিত গাভীর খামার ৩৭৭১টি, গরু মোটা তাজাকরণ খামার ১৭৫টি, মহিষের খামার ১টি, ছাগলের খামার ২৩২টি, ভেড়ার খামার রয়েছে ১৮টি। বর্তমান চাহিদার বিপরীতে ২১১৭টি গাভী, ১১৮৫৫টি ষাড় ও বলদ, ০৮টি মহিষ, ৬৫৭৭টি ছাগল, ১৩০৭টি ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানী ঈদে বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ গর“র হাট, সেতাবগঞ্জের গর“র হাট, ঠাকুরগাওয়ের খোচাবাড়ী গর“র হাট এবং কাহারোল গর“র হাট এই চারটি হাটে বিক্রির আশায় গর“র পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছিলেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জের গো-খামারীরা। কঠোর লকডাউন চলাকালিন উত্তর বঙ্গের বৃহত ৪টি হাট বন্ধ ঘোষনায় খামারীদের লাভের মুখ দেখা দুরে থাক উল্টো বিশাল ক্ষতির বোঝা বহন করতে হবে।
উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট হাট বাজারের সংখ্যা ৩৪টি। এর মধ্যে একমাত্র গোলাপগঞ্জ হাটে গর“ বিক্রয় হয়। তবে কোরবানী উপলক্ষ্যে বীরগঞ্জ পৌর হাট এবং কবিরাজ হাটে স্বপ্ল পরিসরে গর“ বিক্রয় করা হয়। তবে উপজেলার একমাত্র গর“হাট বলে পরিচিত গোলাপগঞ্জ হাট গত ৮জুলাই বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। ¯’ানীয় গো-খামারীরা জানান, বৈশিক মহামারীতে আকাশ ছোয়া গো-খাদ্যের দামের কারণে আমাদের ক্ষতির আশংকা থাকলেও সরকারী ভাবে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে কোরবানী পশুর ভালো দাম পাবো ভেবেছিলাম কিন্ত মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মত ঘোষনা এলো লকডাউন চলা কালে গর“র হাট বন্ধ। যদি ঈদের আগে হাট না খুলে দেওয়া হয় তাহলে অনেক গর“,ছাগল,ভেড়া খামারিরা পথে বসবে।উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মোঃ আব্দুল আউয়াল জানান, ঝলঝলি বহুমুখী সমবায় সমিতির উদ্যোগে একটি গর“ এবং ছাগলের খামার গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১৯ সালে ছোট পরিসরে খামারটির শুর“ করা হয়। বর্তমানে ৫০শতক নিজস্ব জমির উপর অবকাঠামো নির্মানসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে খামারটি লাভজনক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। আগামী কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে খামারে ৫০টি গর“ এবং ২৫টি ছাগল বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্ত লগডাউনের কারনে পুজি হারানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দ্র“ত এ বিষয়ে সরকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে খামারীদের ক্ষতিগ্র¯’ হওয়ার আশংকা রয়েছে।উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের দামাইক্ষেত্র গ্রামের ক্ষুদ্র খামারী আব্দুল লতিফ জানান, খামারে এখন পর্যন্ত ২০টি গর“ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোরবানী উপলক্ষে বিক্রয়ের জন্য তাদের পরিচর্যা অব্যাহত রয়েছে। দেশে করোনার বৃদ্ধির কারণে গর“র হাট বন্ধ করায় ক্রেতার অভাবে গর“র দাম পড়ে যাবে। এতে করে আমাদের মতো ছোট খামারীরা মারাত্তক ক্ষতিগ্র¯’ হবো। খামারীদের বাচাতে বিকল্প ব্যব¯’া গ্রহণে সরকারকে প্রয়োনীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মুহিববুর রহমান বলেন, করোন ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। সে আলোকে ডিজিটাল প্লাট ফর্ম তৈরী করে এবং অন লাইনের মাধ্যমে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে আমরা সবাইকে উৎসাহিত করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ষরাবংঃড়পশ সধশবঃরহম ২১৬ নামে নিজস্ব পেইজ খোলা হয়েছে।
