বিকাশ ঘোষ বীরগঞ্জ, (দিনাজপুর) প্রতিনিধি॥- দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ কাহারোল) আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, একাত্তরের নিরীহ মানুষদের যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল সেই রাজাকার আলবদর আলশামসদের উত্তরসূরীরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আমরা যদি এই শহীদদের স্মৃতিকে অম্লান রাখতে পারি তাদের চেতনাকে যদি ধারণ করতে পারি তবেই মুক্তিযুদ্ধের যথার্থ সার্থকতা আগামী প্রজন্ম ভোগ করবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী না, যারা বঙ্গবন্ধুকে শিকার করতে কষ্ট পায়, তাদের বাংলাদেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, যারা ৭১ এর পরাজিত শক্তির পক্ষে কথা বলে তারা জাতীয় বেঈমান, তারা জাতীয় শত্রু। তাদের জবাব দেওয়ার জন্য এ প্রজন্মকে প্রস্তুত হতে হবে।দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার তাঁরগাও ইউনিয়নের সিংগাড়ীগাঁও গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ৫ আগস্ট ২০২১ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্মৃতিফলকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি গোপাল এসব কথা বলেন। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুল হাসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম ফারুক, কাহারোল থানার ওসি মো. রইস উদ্দীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রাজেন্দ্র দেব নাথ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমী আক্তার।উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২২ মে সিংগারীগাঁ, তারাপুর, দেড়গাঁও, পাহাড়পুরসহ বিভিন্ন স্থানের পাঁচ শতাধিক নারী, শিশু ও পুরুষ ভারতে আশ্রয় নেয়ার জন্য বোচাগঞ্জ উপজেলার টাঙন নদী পার হয়ে চাঁদগাঁও সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাজাকার শফিউদ্দিন মেম্বার পাক সেনাদের খবর দিলে সেনারা তাদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে একটি স্কুলে বন্দী করে রাখেন। পরের দিন ২৩ মে পাক সেনারা শিশু ও নারীদের ছেড়ে দিয়ে প্রায় দুই শতাধিক কিশোর, তরুণ-যুবক ও পুরুষকে গুলি করে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। এ বর্বর হত্যাকা-ের পর পাক সেনারা মরদেহ নিয়ে পালিয়ে যায়।এরপর ২০১৮ সালে মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি’র উদ্যোগে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর ২৩ মে সিংগাড়ীগাঁও গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে এবার করোনার কারনে দিবসটি পালনে বিলম্ব হওয়ায় ৫ আগস্ট দিবসটি পালন করা হয়।