বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি॥ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে উৎসব মূখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে রোপা আমন ধানের নমুনা শস্য কর্তন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে বীরগঞ্জ উপজেলার ৫নং সুজালপুর ইউনিয়নের শীতলাই গ্রামে অনুষ্ঠিত নমুনা শস্য কর্তন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র কৃষি সচিব মেসবাহুল ইসলাম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় দিনাজপুর অঞ্চল উপপরিচালক মোঃ শাহ আলম, খামারবাড়ি দিনাজপুর উপ-পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ, বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো,আব্দুল কাদের, বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আবুরেজা মোঃ আসাদুজ্জামান প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারবৃন্দ, উপ সহকারী কৃষি অফিসারবৃন্দ ও কৃষক-কৃষাণী বৃন্দ। উপকারভোগী কৃষক মোঃ আমিনুল ইসলাম সাংবাদকর্মীদের জানান, নতুন অর্থ বছর ১ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান চাষ করেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি ফলন পাবেন বলে তিনি আশা করেন। তাছাড়া হাইব্রিড ধান কর্তনের পর আগাম সবজি চাষাবাদ করে অধিক লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসার আবুরেজা মোঃ আসাদুজজ্জামান বলেন, এবছর রোপা আমন আবাদ হয়েছে উফশী ২ হাজার ৬শত ৯২ হেঃ, হাইব্রিড ৩ হাজার ৫শত ৪ হেঃ এবং স্থানীয় ৪ হেঃ, সর্বমোট ২৯ হাজার ৬শত হেক্টর। আবাদকৃত জাতগুলির মধ্যে প্রায় ৫শত ৫০ হেঃ আগাম জাত। তিনি ধান কর্তনের বিষয়ে তিনি কৃষকদের যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটার পরামর্শ প্রদান করে বলেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে ১ একর জমির ধান কর্তন করলে কমপক্ষে শ্রমিক লাগে ১২ জন, সময় লাগে ৮ ঘণ্টা, খরচ গড়ে ৯০০০/- আর কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটলে শ্রমিক ৩ হতে ৪ জন, সময় লাগে ১ ঘন্টা খরচ ৫ হাজার থেকে ৬শত টাকা এবং কমপক্ষে ৭০-৮০ কেজি ধান বেশি পাওয়া যায়। ফলে প্রতি একরে শ্রমিক, সময় সাশ্রয়সহ ৫শত হতে ৬ হাজার টাকা বেশি লাভ হচ্ছে। প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র কৃষি সচিব জনাব মেসবাহুল ইসলাম বলেন, কৃষিকে আধুনিকায় করতে হলে কৃষি যন্ত্রের বিকল্প নাই। এ ব্যাপারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা খামার যান্ত্রিকীকরন ব্যাবস্থাপণা প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে ৫০% ভর্তুকি মূল্যে ধান কাটার যন্ত্র প্রদান করছেন, যার মাধ্যমে অল্প সময়ে কম খরচে ধান ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে এবং কৃষক লাভবান হচ্ছেন।