দিনাজপুর প্রতিনিধি \
কলা চাষেও স্বাবলম্বী হওয়ায় দিন দিন বেড়ে চলেছে চাষ। স্বল্প খরচে ভালো ফলন আবার দামও ভাল পাওয়ায় কলা চাষে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন দিনাজপুরের বিরামপুরের অনেক চাষী। এবার কলাতে তেমন কোনো রোগবালাই নেই। কলা চাষে ভাল লাভবান সবাই। ফলে কলা চাষে ঝুকছেন দিনাজপুরের চাষীরা। তাই জমি ক্ষেত ছাড়াও বাড়ির আশপাশ, ডোবা, নালা, জমির আইলেও বিভিন্ন জাতের কলা চাষ হয়েছে।
বিরামপুরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, বিরামপুরে বিভিন্ন জাতের সবরি কলা, চিনি চাম্পা কলা, বিচি কলা ও সাগর কলার চাষ হচ্ছে। গত জুনের শুরুতে চাষিরা জমিতে গোবর, ইউরিয়া, পটাশ, ফসফেট সার মিশিয়ে জমি তৈরি করেন। তাতে তিন হাত ফাঁকা ফাঁকা করে কলার চারা লাগিয়েছেন। ৫-৬ মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে কলার মোচা এসেছে। বর্তমানে প্রায় গাছের কলা বাজারজাত শুরু হয়েছে।
চাষীরা জানায়, এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে খরচ হয় ৪৫ থেকে ৫০হাজার টাকা। বিঘাতে প্রায় ৩৬০ থেকে ৩৮০টি গাছ লাগানো যায় এবং প্রতিটি গাছে কলার ছড়া ধরে। কলাচাষি বড় ছড়া বিক্রি করছেন সাড়ে ৪০০ টাকা দরে। মাজারি ছড়া সাড়ে ৩০০ টাকা এবং ছোট ২০০ থেকে ২৫০টাকায়। ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করে একজন বাগান মালিক কলা বিক্রি করছেন প্রায় ২ লাখ টাকা। প্রথম চালান কলা কাটার পর গাছটি কেটে ফেলেন। সেই কাটা গাছের গোড়া থেকে আবারও কুশি বের হয়ে থাকে। সেই কুশি থেকে আবার দ্বিতীয় চালান কলা ধরে। এভাবে একজন কলাচাষি বাগান থেকে দু’বার কলা বাজারজাত করেন। তবে দ্বিতীয়বারে কলার আকার অনেকটা ছোট আকৃতির হয়।
হাবিবপুর গ্রামের কলাচাষি তফিজ উদ্দিন বলেন, এক বিঘা জমিতে কলার বাগান করেছি। এটা আমার নতুন বাগান। প্রতিটি গাছে কলা ভালো হয়েছে। বড় ছড়াগুলো সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছি এবং মাঝারি ছড়াগুলো ৪০০ এবং ছোট ৩০০ টাকায় বিক্রি করছি।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, কলার দাম ভালো পাওয়ায় গতবারের চেয়ে এবার কলার বাগান বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবার ১২হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছিল। এবার ১৬ হেক্টর জমিতে কলার বাগান হয়েছে।