বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ১৯৭১সালে বাংলাদেশের সাড়ে ৭কোটি মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে যখন দেশ থেকে আওয়ামীলীগ পালিয়েছিল তখন কে সাড়ে ৭কোটি মানুষের দায়িত্ব নিয়ে বলেছিল, উই রিভোল্ট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের জন্মের পর সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়ে গেল, ঘরোয়া রাজনীতি করার কোন ক্ষমতা নাই, ভিন্নমত লালন করবার ভিন্নমতের কথা বলার অধিকার নাই, সকল দল একদলে পরিনত হলো। সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশে আবারো সকল রাজনৈতক দল এর রাজনীতি করার অধিকার কার হাত ধরে ফিরে আসলো, এনেছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
৭৪সালের দুর্ভিক্ষের কথা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, বাসন্তি জাল পরে লজ্জা নিবারন করেছিলেন, বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশের নারীদের নিজের পায়ে দাড় করিয়ে গার্মেন্টস শিল্প কে শুরু করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বিদেশ থেকে রেমিটেন্স এবং কৃষিতে বিপ্লব এনেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের গনতন্ত্র,উন্নয়ন সব কিছু এসেছে জিয়া পরিবারের হাত ধরে।
তিনি বলেন, বিএনপির ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিশোধ হবে ৩১দফার বাস্তবায়ন। বিএনপির ওপর জনগণ আস্থা রাখে।দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করা সম্ভব হলে তা বিএনপি পারবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা জনগণের কাছে পৌছে দিতে হবে।
সাংগাঠনিক কর্মশালায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় দিনাজপুরে নাজমা গার্ডেনে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা এবং জনস¤প্রক্তি কর্মশালা-২০২৫ বক্তব্য দিতে গিয়ে ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।
বিএনপি মিডিয়া সেল আয়োজিত কর্মশালায় জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু উদ্ধোধন করেন। কর্মশালায় মুল আলোচক ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল। বক্তব্য রাখেন, মিডিয়া সেলের সদস্য, নাটোর কেলা বিএনপির আহবায়ক ফারজানা শারমিন পুতুল প্রমুখ।
কর্মশালায় জেলা বিএনপি, উপজেলার ২২টি ইউনিট এবং অঙ্গ সংগঠন থেকে ৪শতাধিক নেতা কর্মীরা অংশ নেন।
পরে বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চোরম্যান তারেক রহমান ভার্চুযালী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।