হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) নৈতিকতা কমিটির আয়োজনে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে দুপুর ১ টা পর্যন্ত উক্ত সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, ম‚খ্য আলোচক ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক জবাব মো. আব্দুল করিম, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, দিনাজপুর এর উপ-পরিচালক জনাব মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, সভায় সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবির নৈতিকতা কমিটির ফোকাল পয়েন্ট প্রফেসর ড. এ. টি. এম. শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন প্রফেসর ড. মো. রাশেদুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক ফাতিহা ফারহানা।
সভায় দুদক এর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক জবাব মো. আব্দুল করিম দুর্নীতি দমন কমিশন আইন নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। পাশাপাশি তিনি দুদক এর বিভিন্ন কার্যক্রম ও কর্মপদ্ধতি নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে দুদক সম্প‚র্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং এক্ষেত্রে কাউকে কোনপ্রকার ছাড় দেয়া হচ্ছে না। দুর্নীতি প্রতিরোধে তিনি সমন্বিতভাবে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এ সময় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান তার বক্তব্যের শুরুতে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী যতবারই ক্ষমতায় এসেছেন প্রতিবারই তিনি দুর্নীতি মুক্ত সমাজ ও দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন গড়ার উপর জোর দিয়েছেন। এই অনুপ্রেরণা তিনি পেয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর নিকট হতে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি দমন এবং দুদক কে শক্তিশালী করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পরবর্তীতে তিনি তা রক্ষা করেছেন। এ ব্যাপারে আমরা অনেক গুলো বড় বড় পদক্ষেপ নিতে দেখেছি। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো গত ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন করা। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য এই সেতুকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল, দুর্নীতির অভিযোগও তোলা হয়েছিল। কিন্তু সব কিছু মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এবং সেটা কানাডার আন্তজার্তিক আদালতে। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার-আপনার বেতন হয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। তাই তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলকে কাজ করে যেতে হবে। আর্থিক দুর্নীতিই শুধু দুর্নীতি নয়, নিয়মের ব্যত্যয় বা অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করাও একধরনের দুর্নীতি। প্রধানমন্ত্রী যে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন সেটিকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে হাবিপ্রবি। এক্ষেত্রে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।