মঙ্গলবার , ৯ আগস্ট ২০২২ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াডাঙ্গীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে এক ইউপি সদস্য! অভিযোগ উপজেলা প্রশাসনে

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
আগস্ট ৯, ২০২২ ১১:২১ অপরাহ্ণ

বালিয়াডাঙ্গী(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ভ্রাম্যমাণ আদালতের জেল জরিমানার ভয় দেখিয়ে পাওয়ার ট্রলি জোরর্পূবক আটক রেখে এক ভুক্তভোগীর নিকট থেকে নগদ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎএর অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপার উঠেছে। এ ঘটনার শিকার হয়ে আমির হামজা নামে এ ভুক্তভোগী সুবিচার চেয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেনকে লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওর্য়াডের নির্বাচিত সদস্য আবু সালেহ ও অভিযোগকারীকে পৃথক ভাবে অভিযোগ তদন্তের শুনানির নোটিশ জারি করেছে। ১০আগস্ট বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসাররে কার্যালয়ে উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণসহ হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আমির হামজা জানান, আমার বাড়ীর পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজের প্রয়োজনে গত ১৭ জুলাই একটি পাওয়ার ট্রলিতে করে নাগর নদীর পার্শ্ববর্তী কলাখাড়ী নামক স্থান হতে একটলী বালু নিয়ে আসার সময় নাগরভিটা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার ও সদস্যগণ আমার বালু বোঝাই পাওয়ার ট্রলিটি আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
পরে পাওয়ারট্রলির চালক মুক্তার আলী ও আমাকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরে জিম্মায় দেয় ক্যাম্পের বিজিবি।
পরদিন ১৮ জুলাই সকালে চেয়ারম্যান সাহেব ও আবু সালেহ মেম্বার গ্রাম পুিলশের হেফাজতে চালক ও আমাকে উপজেলা নির্বাহী কার্যলয়ে হাজির করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে চালক ও আমাকে পৃথকভাবে ১ হাজার টাকা করে দুজনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়দেন।
পরে ওইদিন রাতে আবু সালেহ মেম্বার বাড়ীতে ফিরে আমার নিকট ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন, আমি জানতে চাই ৮০ হাজার টাকা কেনো ? মেম্বার বলেন, তোমার ট্িরলর চালক ও তুমার ৩ মাসের জেল, না হওয়ার কারণে আমি সেখানে ৮০ হাজার টাকা প্রদান করেছি।
মেম্বারকে ৮০ হাজার টাকা আমি দিতে ব্যর্থ হলে, মেম্বার ও তার লোকজন মিলে ওই পাওয়ার ট্রলিটি আমার বাড়ী থেকে জোর পূর্বক তার বাড়ীতে নিয়ে আটক রেখে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা পরে ১৫ হাজার মোট ৬৫ হাজার টাকা জোর পূর্বক ভাবে আদায় করেছে।
সেদিন থেকে বাকি ১৫ হাজার টাকার জন্য প্রচন্ডভাবে চাপ দিচ্ছে। আমি এই কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে মাননীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এব্যপারে অভিযুক্ত ব্যক্তি ইউপি সদস্য আবু সালেহ অভিযোগকারী আমির হামজার উত্থাপিত ও দায়েরকৃত অভিযোগ সর্ম্পূণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে অস্বীকার করেছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও