পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি \ আবারও তিন শিফটে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। এতে করে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে। শনিবার ভোর থেকে খনিতে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়েছে বলে জানান বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) এমডি মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার।
কয়লা খনির ফেজ পরিবর্তনের কারণে দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৭ জুলাই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির নতুন কূপে পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। পরীক্ষামূলক উত্তোলনের এক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গভাবে উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল শ্রমিকরা। এর মধ্যে জুলাই মাসের শেষে খনিতে কর্মরত অর্ধশতাধিক চীনা ও বাংলাদেশি শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। ফলে সংক্রমণ ঠেকাতে খনি কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। পরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ম্যানেজ করে ৬ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চীনা শ্রমিকরা এক শিফটে সীমিত পরিসরে কয়লা উত্তোলন শুরু করে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) এমডি মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার থেকে তিন শিফটে কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে। রোববার উত্তোলন হয়েছে ২ হাজার ৭শত মেট্রিক টন কয়লা। শনিবার তিন শিফটে ২ হাজার ৭৩১ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। তিন শিফটে চীনা ৩০০ ও স্থানীয় বাংলাদেশি ২৯৩ শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকের সংখ্যা বাড়লেও দিনে তিন শিফটে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন করে কয়লা উত্তোলন সম্ভব হবে। ১৩০৬ নম্বর ফেইস থেকে প্রতিদিন তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে সুত্র জানায়।
তিনি আরও বলেন- খনি ভূ-গর্ভে ১৩০৬ নম্বর কোল ফেইসে থেকে গত ২৭ জুলাই কয়লা উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয় ও চাইনিজ খনি শ্রমিকদের মাঝে ব্যাপকভাবে করোনার সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৯ জুলাই সাময়িকভাবে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে স্থানীয় প্রায় সাড়ে তিনশ খনি শ্রমিককে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ৬ আগস্ট থেকে স্বল্প সংখ্যক স্থানীয় ও চাইনিজ শ্রমিক দিয়ে সীমিত পরিষরে এক শিফটে কয়লা উত্তোলন চলছিল। সে অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হলো।