পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে টাকার বিনিময়ে মধ্যরাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন দেয়ায় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করার দাবিসহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী জানান বিভিন্ন ইউনিয়নর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুশিয়ারী দেয়া হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
লিখিত বক্তব্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নতুন কমিটির পদত্যাগী সভাপতি তাপস চন্দ্র রায় বলেন, গত ২৫ নভেম্বর কোন আগাম প্রস্তুতি ছাড়া সিভি আহবান ব্যতিত রানিং কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে না জানিয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ১০ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা দেয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে না জানিয়ে গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মধ্যরাতে টাকার বিনিময়ে এসকল কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নতুন অনুমোদন দেয়া কমিটিতে স্থান পেয়েছে স্কুলের বাচ্চা, বিবাহিত, নৌকার বিরোধীতাকারী, অছাত্র, মাদকাসক্ত এবং জামাত বিএনপি পরিবারের সন্তানেরা। তিনি বলেন আমাকে মাগুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে। কিন্তু কমিটিতে অছাত্র, মাদকাসক্ত, মোবাইল ও টাকা ছিনতাইকারী ব্যাক্তিকে সাধারণ সম্পাদক করায় আমি পদত্যাগ করেছি। একইভাবে পদত্যাগ করেছেন গড়িনাবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শেখ মাসুম। কেননা ওই কমিটিতে যাকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করেছেন তারা ইউপি নির্বাচনে শেখ হাসিনার নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং সাধারণ সম্পাদক জামাত পরিবারের সন্তান। অমরখানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে আহসান হাবীব কাজলকে। সে একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক মামলায় ৩ বারে জেলে গেছে। তিনি অবিলম্বে পঞ্চগড় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করার দাবিসহ সভপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। আমাদের ত‚ণমূল ছাত্রলীগের গঠনতান্ত্রীক দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি নেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে মাগুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন ছাত্রলীদের আরিফ ফয়সাল, অমরখানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগৈর সভাপতি নাহিদ নেওয়াজ কাজল, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বিপুল, হাফিজাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোনায়েম আহসান প্রধান মুনিফসহ সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান আরিফের সাথে কথা বলার জন্য ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।