দিনাজপুর প্রেসক্লাবে অসহায় মা-বাবা‘র আর্তি আমার মেয়েকে একবার দেখতে দাও-মেয়ে ঈষা বেঁচে আছে না মরে গেছে আমরা জানিনা,অপহরণ করে কোথায় নিয়ে গেলো তারা আমার মেয়েকে। দিনাজপুরের বিরলে নাবালিকা এস,এস,সি পরীক্ষার্থী সংখ্যালুঘু সম্প্রদায়ের অসহায় দরিদ্র পিতার কন্যা ঈষাকে অপহরণের ২৪দিন পরেও অভিযুক্ত আসামীদের কাউকেই গ্রেফতার করেনি দিনাজপুরের বিরল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত অভিযোগ করেন দিনাজপুর বিরল উপজেলার ৭ নং বিজোডা ইউপি’র বিস্তইর গ্রামের বাবা প্রদীপ কুমার সরকার ।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার দায়েরকৃত অপহরণ মামলার আসামি মো: আলফাজ ওরফে আকাশ দীর্ঘদিন ধরেই আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে কু-প্রস্তাবে দিত এবং নানা ভাবে উক্তোক্ত করতো। আসামি আকাশের দেয়া কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৭ নভেম্বর দুপুরে আমার স্কুল পড়–য়া মেয়ে ঈষা সরকার (১৬) বিরল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে বাড়িতে আসার পথে স্কুলের পিছনে পুরাতন শহীদ মিনার সংলগ্ন নির্জন এলাকা থেকে আসামি আকাশ, মোঃ রেয়াজুল ইসলাম, মো: জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ আরমানসহ আরো ৫/৬ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে জোরপূর্বক নম্বরবিহীন একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে দিনাজপুর শহরের দিকে চলে যায়। ঘটনার সময় স্থানীয় বিরল বাজার হতে ওই পথে বাড়ি ফেরার পথে মানিক সরকার বিষয়টি দেখতে পেয়ে ততক্ষনাত আমাকে মোবাইল ফোনে জানায়। তখন আমি মেয়ের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিও তার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। মেয়েকে উদ্ধারের জন্য সাথে সাথে আমি আত্বীয় স্বজন,স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান/ মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সহযোগিতায় বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ শুরু করেও মেয়েকে কোনোভাবে উদ্ধার করতে পারিনি। সকলের পরামর্শ ক্রমে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য গত ৩ডিসেম্বর বিরল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছি,যার মামলা নং ০৪ তাং ০৩/১২/২২ ইং। কিন্তু থানা পুলিশ অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আমার মেয়েকে উদ্ধারে কোনো ভুমিকাই রাখছে না, তারা এখনো মামলায় অভিযুক্ত একজন আসামিকেও গ্রেফতার করেনি । তিনি জানান বিরল থানা পুলিশের কার্য্যক্রমে আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি এবং চিন্তা করছি আদৌ আমার মেয়েকে তারা জীবিত উদ্ধার করতে পারবে কিনা। আমার অসহায় হয়ে আজ কন্যা উদ্ধারে প্রশাসনের সাহায্য চাইতে সংবাদ সম্মেলন করছি,কোথায় গেলে আমাদের মেয়েকে আমরা সুস্থ্য ও জীবিত ফেরত পাবো। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অপহৃত ঈষার মা দিপ্তি রানী দাস, মামা পলাশ চন্দ্র দাস ও বাঁধন সরকার।
এদিকে, পুলিশ আসামী ধরছে না এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই বিধান রায় জানান, আসামী গ্রেফতার এবং ভিকটিম উদ্ধারে যথাযথ নিয়মমাফিক সকল কার্য্যক্রম চালানো হচ্ছে কোনোরূপ অবহেলা নেই। তবে ইতিমধ্যেই উল্লেখিত মামলার একজন আসামী মো: জাহাঙ্গীর আলম আদালত হতে জামিন নিয়েছেন,এ সংক্রান্ত আদালতের কাগজপত্র আমরা হাতে পেয়েছি।