মঙ্গলবার , ১০ জানুয়ারি ২০২৩ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খানসামায় সাদা সোনা নামে খ্যাত রসুনের ভাল ফলনের সম্ভাবনা

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জানুয়ারি ১০, ২০২৩ ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের খানসামায় এবারো কৃষকরা ব্যাপক হারে সাদা সোনা নামে খ্যাত রসুনের আবাদ করছেন। বিগত বছরগুলোতে রসুনের ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় ব্যাপক সফলতা পায় কৃষকরা। উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এ মৌসুমেও তারা রসুন চাষে ঝুঁকেছেন। এদিকে সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এবং আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এবারও উপজেলায় রসুনের বাম্পার ফলনের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে রসুন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ বছর তা কমে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রসুন রোপন করা হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার জুগীরঘোপা, কায়েমপুর, জোয়ার, কাচিনীয়া, আগ্রা, গুলিয়ারা ও গোয়ালডিহি গ্রামে রসুন চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত মৌসুমের শুরুতে রসুনের ভালো দাম না থাকলেও শেষ সময়ে এসে রসুনের ভালো দাম পেয়েছে কৃষকরা। ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও এ এলাকার কৃষকরা ব্যাপকহারে রসুন আবাদ করেছেন। এছাড়া এবার রসুন বীজের অঙ্কুরোদগমও ভালো হয়েছে। অনুক‚ল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবং প্রয়োজনীয় সেচ ও সার পাওয়ায় রসুনের চারা এখন দ্রত বেড়ে চলেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রসুনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি একর জমিতে রসুন চাষে শ্রমিক ও চাষ বাবদ খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ বাবদ খরচ হয় আরও ৩০ হাজার টাকা। এতে করে প্রতি একরে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে একর প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ মণ রসুন পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি মণ রসুন আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা করে হলে দাম পাওয়া যায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার মতো। রসুন ঘরে তোলা, বাছাই ও বাজারজাতকরণে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ বাদ দিলেও লাভ থাকে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। তবে এই দামে রসুন বিক্রি করতে হলে মৌসুমের শুরুতেই বিক্রি না করে একটু অপেক্ষা করতে হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, বর্তমানে খানসামায় কৃষকদের কাছে রসুন অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়া সত্বেও গত বছর দাম না পাওয়ায় এ বছর বই ফসলের চাষ অনেকাংশ কমেছে। তারপরও রসুন চাষে কৃষককে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তবে এবারও রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

রাণীশংকৈলে ইএসডিও-এডুকো প্রকল্পের মুক্ত আলোচনা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

হাবিপ্রবিতে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত এবং জিআরএস সফটওয়্যার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে

বুধবার থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা-বিক্রি নিষিদ্ধ

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ঘন কুয়াশায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে হেলপার নিহত, আহত ৩

ঠাকুরগাঁওয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক অবহিতকরন সভা

পীরগঞ্জে প্রাক্-বড় দিন উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা

জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তৌহিদুল সভাপতি হাবিবুল্লাহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

বীরগঞ্জে বিএনপি’র গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

বীরগঞ্জে বিএনপি’র গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

বালিয়াডাঙ্গীর ভ্যানচালক বাবার স্বপ্নপূরণে উচ্চশিক্ষায় চীনে দুই ভাই !