উত্তরের জেলা দিনাজপুরে হিমেল হাওয়ার সাথে শৈত্যপ্রবাহে কনকনে শীতের কবলে পড়ে বিপর্যস্থ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বিপাকে পড়েছেন নি¤œ আয়ের খেটেখাওয়া মানুষ। ভোরের দিকে শীতের পাশাপাশি কুয়াশা হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলেছে গাড়ি। এসময় দূরপাল্লার পরিবহন চলে ধীরগতিতে। তবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সূর্যের দেখা মিললে জনজীবনে কিছুটা হলেও স্বস্থি ফিরে আসে। শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি কনকনে শীতল বাতাসে ছিন্নমুলের মানুষ ছাড়াও প্রান্তিক চাষীরা মাঠে কাজ করতে পারছেনা। সুর্য উঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করছে এ অঞ্চলের মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে কুয়াশা। এই সময়ে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক রবিউল বলেন, শীত আর ঠান্ডা বাতাসের জন্য মাঠে আলু তোলার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও পাওয়া যাচ্ছে তাহলে তারা শীতের অযুহাতে মজুরি বেশি চাচ্ছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৪ ভাগ। জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।