শুক্রবার , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৌসুমের আগেই মাটি ছাড়াই সবজী চারা উৎপাদন ও বিক্রি করে লাভবান

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বিশেষ প্রতিনিধি \ বিশেষ পদ্ধতি কোকোপিটের সাহায্যে মিডিয়া দ্বারা তৈরী ভাইরাস মুক্ত সব মৌসুমের সবজী চারা উৎপাদন করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত।
এখন গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের প্রস্তুতি চলছে দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায়। জমি প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকেরা। আর এই গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষকে সামনে রেখে বিশেষ পদ্ধতিতে মাটি ছাড়াই ৬ শতক জমিতে সবজির চারা উৎপন্ন করছেন দিনাজপুরের সুন্দরবন ইউপির রানীগঞ্জ বেলবাড়ির ইয়াসিন আরাফাত। তবে সব মৌসুমের আগেই তিন মাটি ছাড়াই সবজির চারা উৎপাদন এবং বিক্রি করতে গড়ে তুলেছেন সবজী নার্সারী। বর্তমানে কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী তিনি এক হাজার ট্রে তে এক লাখ টমেটো চারা উৎপাদন করছেন। কিছুদিনের মধ্যে এসব চারা কৃষকেরা নিয়ে যাবেন। কারন ফাল্পুনের মধ্যে এসব টমেটো চারা রোপন করতে হবে।
কোকোপিট একটি উচ্চ বাফার ক্ষমতাসম্পন্ন জৈব পদার্থ যা মাটির গুণাগুণ বজায় রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। কোকোপিটের পিএইচ (ঢ়ঐ) সবসময় ৫.৫ থেকে ৭ থাকে যা সুস্থ উদ্ভিদ তৈরিতে এবং খুব সহজেই উন্নতমানের গাছপালা তৈরিতে সাহায্য করে এবং এর ফলে অনেক বেশি পরিমাণে ফসল সংগ্রহ করা যায়। কোকোপিট দিয়ে যে কোনো প্রকার চারা তৈরি বা গাছ লাগানো যেতে পারে। নির্দিষ্ট কোনো ধরা বাঁধা নিয়ম নেই।আধুনিক গ্রিন হাউসে কোকোপিটকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়।
ইয়াসিন আরাফাত জানান, রানীগঞ্জ বেলবাড়িতে তার সবজী নার্সারীতে বিশেষ পদ্ধতিতে কোকপিটের সাহায্যে মিডিয়া দ্বারা তৈরী ভাইরাস মুক্ত সব মৌসুমের সবজী চারা তৈরী এবং বিক্রি করা হয়। এই চারা তৈরীতে ট্রে ব্যবহার করা হয়। ক্রমবর্ধমান হাইড্রোপোনিক উপায়ে সবজি চাষের জন্য কোকোপিট ব্যবহার করা হয় যেন কোনোভাবেই গাছ বা চারা ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। কোকোপিট উদ্ভিদের শিকড় উন্নয়নের জন্য একটি চমৎকার স্তর এবং গাছ বা চারা রোপণ করার সময় কোনো এজেন্ট প্রয়োজন হলে জৈব সারের সাথে কোকোপিটের সংমিশ্রণে একটি গ্রোয়ার মিডিয়া তৈরি করে সরাসরি চারা তৈরি করা যেতে পারে। কোকোপিট মাটির তুলনায় অনেক হালকা এবং টবে ব্যবহারের সময় খুব সহজেই কোকোপিটের ভিতর বাতাস চলাচল করতে পারে, যার ফলে গাছ বেশি বেশি অক্সিজেন নিতে পারে। কোকোপিট শোষক সময়কাল অনেক। ফলে এটা গাছে ধীরে ধীরে শোষিত হয়।
তিনি আরও জানান, প্রথমে চারা তৈরীর জন্য ৬০০টি ট্রে, কোকোপিট (নারিকেলের ছোবলার পচানো গুড়া) শুরু করেন। একবারেই এসব ক্রয় করতে হয়েছে। তবে চারা বিক্রির পর কোকোপিট ক্রয় করতে হয়। কোকোপিট ২০টাকা কেজী দরে বিক্রি হয়। একই ট্রে এবং নেট কয়েক বছর চলে যায়,তাই বার বার কিনতে হয় না। এ পর্যন্ত ১০০জন কৃষক তার কাছে চারা কিনেছেন। এখন বেগুন, মরিচ, পেঁপে, টমেটো, ফুলকপিসহ নানা ধরনের সবজির চারা উৎপাদন করাও হয। মৌসুমের আগেই চারা উৎপন্ন করে বিক্রি করা যায়। এতে ভাল দাম পাওয়া যায়। অনেক কৃষক আগাম সবজির চারা কেনার জন্য অর্ডার দিচ্ছে। চাহিদাও বাড়ছে। কৃষকরাও আগাম এসব চারা নিয়ে ব্যাপক লাভবানও হচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি টমেটো চারা দেড় টাকা দরে কৃষকের কাছে বিক্রি করেন এবং তার প্রতিটি চারায় খরচ পড়েছে ১টাকা। প্রতি ট্রেতে এক শ চারা থাকে। প্রতিমাসে ২০হাজার টাকা লাভ হয়। এ ছাড়াও তার নার্সারীতে আম, লিচুসহ বিভিন্ন সবজীর চারা উৎপন্ন ও বিক্রি করা হয়। (লেখক-রিয়াজুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক, দৈনিক প্রতিদিন, দিনাজপুর)।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

রাণীশংকৈলে মা মেয়ে সহ ঠাকুরগাওয়ে বজ্রপাতে ৩ জন নিহত

ঠাকুরগাওয়ে ৩ ঘন্টা ব্যবধানে ছেলের পর বাবার মৃত্যু

বীরগঞ্জে পৌর বিল্ডিং কোড অমান্য করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ

মায়ের জন্য পাত্র চেয়ে ছেলের বিজ্ঞপ্তি

ফেসবুকে মরহুম (এমপি) বাবার উদ্দেশ্যে লেখা সাবেক এমপি কন্যার হৃদয় বিদারক স্টেটাস!

শিশুদের নিয়ে ফল উৎসব ও ক্রিড়া প্রতিযোগিতা করল বীরগঞ্জ শুভসংঘ

প্রধান মন্ত্রীর মূখ্য সচিবের পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা পরিদর্শন

সাপাহার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন

বাজারে মাছ কেটে দিয়ে সংসার চলে জয়ন্তী রায়ের

প্রখ্যাত প্লাস্টিক সার্জন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সাজ্জাদ খন্দকারের উদ্যোগে ঠোঁট কাঁটা ও তালু কাঁটা অপারেশন ক্যাম্প

প্রখ্যাত প্লাস্টিক সার্জন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সাজ্জাদ খন্দকারের উদ্যোগে ঠোঁট কাঁটা ও তালু কাঁটা অপারেশন ক্যাম্প