সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচির নেতৃবৃন্দ সহ গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
আহম্মদনগরের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রতিনিধি দল
যে যার ধর্ম বিনা বাধায় স্বাচ্ছন্দে প্রতিপালন
করবে-এ ধরণের পরিবেশ দেখতে চাই
————মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, পঞ্চগড় জেলা একটি শান্তিপ্রিয় জেলা। যেখানে এ ধরণের সহিংসতা হয়েছে আমরা তার নিন্দা জানাই। যে যার ধর্ম বিনা বাধায় স্বাচ্ছন্দে প্রতিপালন করতে পারবে এই ধরণের একটি পরিবেশ আমরা দেখতে চাই বাংলাদেশে। দুঃখের বিষয় সবকিছুরই রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে অর্থনীতি যেমন পর্যুদস্ত সাধারণ মানুষেরও জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। যেভাবে বাড়ি ঘর পোড়ানো হয়েছে এরা তো বাংলাদেশেরই নাগরিক। সুতরাং এ ধরণের ঘটনা আমরা আশা করি না। তবে কেন এই ঘটনা ঘটল আর কারা এটার জন্য দায়ি প্রশাসনের ভুমিকা কি এটি জানার জন্যই আমরা এখানে এসেছি। তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে জেলার আহম্মদনগর ও শালশিরি এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন শেষে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৭৯টি বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শতাধিক আহত হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জনমনে স্পষ্ট ধারণা আছে। কয়েকদিন আগে রেলপথমন্ত্রী যখন এখানে আসেন তখন ক্ষতিগ্রস্থরা ধ্বংসাত্মক কাজে যারা লিপ্ত ছিল তারা মন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে মন্ত্রীর আশপাশে ছিলেন বলে জানিয়েছেন। আমরা আশা করেছিলাম প্রশাসন তাদের দ্রæত গ্রেফতার করবে। কিন্তু তা করা হয়নি। তিনি বলেন, সরকারি অনুমতি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের বাৎসরিক জলসার আয়োজন করেছিল। যখন আক্রমণ করা হয় বাড়িঘর পোড়ানো হয় বার বার প্রশাসনকে ফোন করেও প্রশাসন এগিয়ে আসেনি। তিন ঘন্টা পর ডিসি এসপি এসে দুস্কৃতিকারীদের খানিকটা প্রতিরোধ করেছে। তিনি বলেন, এত অপরাধি সবাই সবাইকে চেনে কিন্তু ধরা হচ্ছে শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের। বিএনপি কর্মীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পলাতক। একেকটা মামলায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২/৩ হাজার আসামী করা হয়েছে। যার ফলে বিএনপি যারা করে নিরীহ শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ তারা আজকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা মনে করি যে ঘটনাটি ঘটেছে এটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সুপরিকল্পিত। নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিশেষ করে দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে আতঙ্কের মধ্যে রাখার জন্য এ ধরণের ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে। ঢাকা, সীতাকুন্ড বি-বাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমাবাজি হামলার ঘটনা ঘটেছে তা প্রমাণিত হয়েছে প্রত্যেকটি জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা এই কান্ড ঘটিয়েছে।
এসময় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, আখতারুজ্জামান শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজলসহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিনিধি দলটি আহমদনগর ও শালশিরি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় যান। সেখানে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনের সাথে মতবিনিময় করেন।