দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মিরাজ কাজী নামে এক শিশু হত্যায় মমতাজ উদ্দিন নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২৫হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদÐ দেওয়া হয়। অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলায় তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদÐ প্রাপ্ত মমতাজ উদ্দিন (৫২) ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম খাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
অপরদিকে, নিহত মিরাজ কাজী(৫) ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম খাজাপুর গ্রামের মাহাবুব কাজীর ছেলে।
মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মমতাজ উদ্দিনের বোন মর্জিনা বেগম, ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও ছেলের বউ জেসমিন আরা।
দিনাজপুরের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক একেএম লিয়াকত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মাহাবুর কাজীর মা মোছা. মর্জিনা বেগম পশ্চিম খাজাপুর গ্রামের মমতাজ উদ্দিনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সে সুবাদে ২০১৮সালের ৮ জুলাই শিশু মিরাজ কাজীকে তার দাদি তাদের কাছে বেড়াতে নিয়ে যান। বিকেল ৪টার দিকে প্রচারণা চালায় মিরাজ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরদিন সকালে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশু মিরাজ কাজীর বাবা মাহাবুর কাজী বাদী হয়ে ৯জুলাই ফুলবাড়ী থানায় ৪জনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ চারজনের নামে চার্জশিট দেন। প্রধান আসামি মমতাজ উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে মমতাজ উদ্দিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদÐ দেন আদালত।একইসঙ্গে তাকে ২৫হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদÐ দেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি শাহ মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী।