বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অপেক্ষার প্রহর ভেদ করে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ। পৌরশহরের ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের দু’পাশে ফল ব্যবসায়ীদের দোকানগুলোতে চোখে পড়ছে তরমুজ। তবে বিক্রেতারা জানান,বিভিন্ন দোকানে তরমুজ উঠতে শুরু করলেও বিক্রি কম। তবে চাহিদা বাড়বে বলে আশাবাদী তারা। শহরের বাজারগুলোতে ও সড়কের পাশে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফলের দোকানগুলোতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তরমুজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। টিউমারের বৃদ্ধি হ্রাস করে,ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং এর বিটা ক্যারোটিন হৃদযন্ত্রের শক্তি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হার্ট অ্যাটাক ও সেট্রাক প্রতিহত করতে সাহায্য করে। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম ফ্লরিড ও মিনারেলের ভারসাম্য বজায় রাখে,মাংস পেশির অতিরিক্ত সংকোচন দূর করে। এটি ফুসফুস, যকৃত কিতনি ও পাকস্থলীকে শক্তিশালী করে। পেপটিক আলসার সৃষ্টিতে বাধা দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে পৌরশহরের বিজয় চত্বরে এলাকার তরমুজ ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান বলেন,বর্তমানে বাজারে বরিশাল,পটুয়াখালী ভেলা, পতেঙ্গাসহ বিভিন্ন জেলার মোকাম থেকে কালো ও বাংলালিংক জাতের এই তরমুজ ১৩-১৪ শত টাকা মণ কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছি।ওই ব্যবসায়ী আরও বলেন,সারা বছর এই মৌসুমে ফলের ব্যবসা করছি। অন্যান্য ফলের পাশাপাশি নতুন ফল তরমুজ বিক্রি করছি। আগে দিনাজপুর-সৈয়দপুর থেকে তরমুজ সংগ্রহ করে আনা হতো। এবছর এঅঞ্চলে তরমুজ উঠতে এক -দেড় মাস সময় লাগবে। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এঅঞ্চলে তরমুজের আবাদ তেমন হয়নি। কয়েকটি এলাকাতে আবাদ হলেও এই সময়ে বাজারে আসে না। তাই আমরা বরিশাল থেকে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করি। এর স্বাদ ভালো থাকায় বাজারে চাহিদা আছে। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ মণের মতো তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। নতুন জাতের তরমুজ বাজারের আসতে শুরু করলেও বেচাকেনা এখনো সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে পবিত্র মাহে রমজান মাসে বেচাকেনা জমে উঠবে। ক্রেতাসাধারণরা বলছেন,নতুন তরমুজ বাজারে পাওয়া গেলেও দামে একটু বেশি। কিন্তু কি আর করার নতুন ফল বলে কথা! ৫০-৫৫ কেজি দরে এক পিস তরমুজের প্রায় ৪-৫ শত টাকা কিনতে হচ্ছে। এই অঞ্চলের তরমুজ না উঠা পর্যন্ত বেশি দামে কিনতে হবেই।