দিনাজপুর প্রতিনিধি \
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে স্বামী-শ্বশুরের নির্যাতনে এক গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ। এ ঘটনায় পুলিশ মৃত গৃহবধুর শ্বাশুড়ী ছকিনা বেগম (৬০)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে এবং শশুর ও স্বামী পলাতক রয়েছে।
গতকাল শনিবার মৃত গৃহবধুর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর (নয়াপাড়া) গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
মৃত গৃহবধূ মনিরা বেগম (২৪) ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম (ভুতগাড়ী) গ্রামের আব্দুল মোমিনের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঘোড়াঘাটের দেওগ্রাম গ্রামের আব্দুল মোমিনের মেয়ে মনিরা বেগম এর সাথে নারায়ণপুর গ্রামের মামুনুর রশিদের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (৩৩) এর সাথে ৫বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে মাহির নামে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। পূত্রের বয়স ৪বছর। কিছুদিন থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এনিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে একাধিকবার সালিশ হয়। শুক্রবার দিবাগত রাতে গৃহবধুকে মারপিট করলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে তারা লাশ বাড়ীতে ফেরত নিয়ে যায়। বিষয়টি রাতেই মুঠোফোনে গৃহবধুর পরিবারকে জানালে শনিবার সকালে পরিবারের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘোড়াঘাট পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়ন্ত কুমার সাহা সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। একই সময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে মৃত গৃহবধুর শাশুড়ীকে আটক করেন।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হাসান কবির জানান, শনিবার মৃত গৃহবধুর পিতা আব্দুল মোমিন বাদী হয়ে স্বামী ও শ্বশুরসহ ২জন ও অজ্ঞাতনামা ২/৩জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শ্বাশুড়ী ছকিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে এবং শশুর ও স্বামী পলাতক রয়েছে। আসামীদের দ্রæত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।