উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম দিনাজপুরের রামনগর চামড়া মার্কেটের আড়তগুলোতে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। ব্যস্ত শ্রমিক-কর্মচারীরা। লবণের দাম বৃদ্ধির কারণে খরচ বাড়বে চামড়া সংরক্ষণে। ঢাকার বিভিন্ন ট্যানারী মালিকদের মালিকদের কাছে বকেয়া আদায় পড়ে আছে ৯কোটি টাকা। এরপরেও ভালো বেচাকেনার প্রত্যাশা করছেন আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা। কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের প্রধান উপকরণ লবণও সংরক্ষণ করা হয়েছে।
পাওনা টাকা না পেয়েও এবারও আশংকা নিয়ে কোরবানির ঈদে চামড়া ব্যবসার প্রস্তুতি নিয়েছেন দিনাজপুরের চামড়া ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় চামড়ার সঠিক দাম না পেলে অধিক মুনাফা লাভের আসায় চামড়া পাচারের আশংকা রয়েছে। এ অবস্থায় চামড়া শিল্পকে বাচাতে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন দিনাজপুর চামড়া মালিক গ্রæপ।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম চামড়ার বাজার দিনাজপুর শহরের রামনগর চামড়া মার্কেট। এখানে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চামড়া বিক্রি করতে আসেন খুচরা ও মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। কোরবানির সময়ে প্রায় লক্ষাধিক চামড়া আমদানি হয় এখানে। ঢাকার ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে লেনদেন চলে মৌখিক ও বাকিতে। গত বছরের টাকা এখনও পাওনা রয়েছে। এবার চামড়া কিনে প্রক্রিয়া করে ঢাকায় বিক্রি পর্যন্ত প্রতি পিচ খরচ পড়বে ২৫০টাকা বলে জানায় চামড়া ব্যবসায়ীরা।
এখানে ছোট বড় মিলে রয়েছে শতাধিক চামড়া ব্যবসায়ী।কাঁচা চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে। ব্যবসায়ী সমিতির কাছ থেকে এখনও কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রæপ এর সভাপতি জুলফিকার আলী স্বপন জানান, ঢাকার বিভিন্ন ট্যানারী মালিকদের কাছে এখনও পাওনা আছে। এপরেও কিছু ব্যবসায়ী ব্যবসা ধরে রাখতে চামড়া কেনা বেচায় রয়েছেন। তাদের দাবী চামড়া বিভিন্ন ট্যানারী মালিকদের কাছে বিক্রির পর টাকা পেতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।
উল্লেখ্য,ঢাকায় চামড়া পাঠানোর জন্য রয়েছেন প্রায় ৩০-৪০জন ব্যবসায়ী। আর কাঁচা চামড়া লবন দিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণসহ বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিক।