বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।। দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার ৫নং ছাতইল ইউনিয়নের শুকদেবপুুর গ্রামের বাসিন্দা মাহেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রইছউদ্দীন। ছোট বেলা থেকে গাছ লাগাতে ভালবাসতেন তিনি। বাড়ীর উঠানে বা আশপাশের জমিতে বিভিনন জাতের গাছ লাগানো ছিল তার সখ। এরপর ছাত্র জীবন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বাগান করার, যে বাগানে থাকবে বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছ যা আর্থিক আয়ের পাশাপাশি দেশ ও মানুষের কল্যানে আসবে। কিন্তুু পড়ালেখা শেষ করে শিক্ষকতায় চাকুরী করার কারনে সেই স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করতে পারেন নি। বাগান করতে না পারলেও মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক হিসেবে চাকুরীর পাশাপাশি তিনি নিজ উদ্যোগে ২০১৩ সালে দিনাজপুর-পারঘাটা সড়কের পার্শ্বে মাহেরপুর এলাকায় প্রায় ২ একর জমি লীজ নিয়ে সেখানে প্রত্যাশা নামক একটি নার্সারী করেন। নার্সারী করার পর গত সাড়ে ৫ বছরে বিভিন্ন জাতের প্রায় ৭০ হাজার চারা বিক্রয় ও সরবরাহ করেন। তার নার্সারীতে বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছের চারা পাওয়া যায়। তবে মেহগনি, আকাশমনি, ঘোড়ানিম, কৃষ্ণচুড়া, দেশী নিম, বিভিন্ন ফলজ গাছ সহ বকুলফুল ও শোভাবর্ধনকারী ফুলের চারার চাহিদা বেশী। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ তার নার্সারীতে এসে গাছের চারা ক্রয় করেন। এছাড়াও তিনি নিজেও ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বিভিন্ন জাতের গাছের চারা লাগিয়ে থাকেন। শিক্ষকতার কারনে নার্সারীতে সেভাবে সময় দিতে না পারায় এলাকার ৫ জন মানুষকে কাজে লাগিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
শিক্ষক রইছউদ্দীন জানান, শিক্ষকতা করে যে বেতন পান তাতে পরিবার নিয়ে ভাল ভাবেই চললেও নিজের দেখা স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের কথা ভেবেই বাড়তি আয়ের জন্য নার্সারী করা মূল উদ্দেশ্য। যাতে করে অবসরে যাওয়ার পর তিনি যেন নার্সারীর পরিধি বাড়িয়ে সার্বক্ষনিক নার্সারীতে সময় দিয়ে দেশ ও মানুষের জন্য বিভিন্ন জাতের চারা উৎপাদন করে তা বাজারে সরবরাহ করতে পারেন এখন এটাই তার মূল স্বপ্ন।