চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:প্রায় ৬ বছর ধরে ভ‚ল্লি নদীর উপর সেতুটি ভেঙ্গে পরে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকলেও আজও এই সেতুর সংস্কার বা নতুন করে করা হয়নি। এই সেতু দিয়ে চলাচলে দূর্ভোগে পড়লে স্থানীয়রা ওই সেতুর পাশে একটি বাশেঁর সাঁকো নির্মাণ কিছুটা দুর্ভোগ কমিয়ে চলাচল করছে।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউপির ভুল্লির বাজারে ভুল্লির নদীর ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোটিই এখন নদীর দুই পাশের লোকজনের চলাচলের একমাত্র ভরসা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় উৎপত্তি হওয়া করতোয়া নদীর শাখা নদী হচ্ছে ভূল্লি নদী। সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার এগিয়ে পূর্বতীরে নীলফামারীর খোকশাবাড়ি ও পশ্চিম তীরে দিনাজপুরের খানসামার পূর্ব বাসুলী গ্রাম অতিক্রম করে দুই জেলাকে নদীটি বিভক্ত করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ৬ বছর পূর্বে বন্যায় সেতুটি ভেঙ্গে যায়। সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর তার পাশে স্থানীয় লোকজন চলাচলে চাঁদা তুলে নির্মাণ করেন বাঁশের সাঁকো। ছোট্ট সাঁকোটি দিয়ে কৃষকের উৎপাদিত ফসল পরিবহন করতে সমস্যা হয়। প্রায় দেড় বছর আগে বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে মোটরসাইকেলসহ পারাপারে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মারা যান জনৈক এক ব্যক্তি। নদীর ওপর ১৬০ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি মূলত নীলফামারী সদর ও খানসামা উপজেলার মানুষসহ স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের চলাচলের এবং যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই সেতু। সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় লোকজনদের।
এ ব্যাপারে খানসামা আলোকঝাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, ২০১৭সালের বন্যায় সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সকল মানুষের চলাচলে নানা দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শীঘ্রই সেতুটি নির্মানের আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনও তেমন অগ্রগতি নেই।