কয়েকদিনের টানা বর্ষনে সৃষ্ট পানিতে চারপাশে সবুজে ঘেরা দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যানের আশুরার বিলের শেখ ফজিলাতুন্নেসা কাঠের সেতু। গত ৬দিন ধরে আশুড়ার বিলের ওপরে আঁকাবাঁকা দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতুর ওপর হাঁটু পানি। এরপরেও ডুবে যাওয়া সেতুটি দেখতে অনেকে নৌকা নিয়ে আসছেন দর্শনার্থীরা। তবে দর্শনার্থীরা যেন আশুড়ার বিলে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা ভ্রমণ না করেন, সে জন্য গতকাল শুক্রবার থেকে বিলের চারিদিকে জনসচেতনতামূলক পোস্টার ও ব্যানার লাগানো হয়েছে বলে জানান নবাবগঞ্জ শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান।
এদিকে, কাঠের সেতু ডুবে যাওয়ায় আশুড়ার বিল প্রায় পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে কাঠের সেতু ও আশুড়ার বিলকে ঘিরে জীবিকা নির্বাহ করা দোকানদার ও নৌকার মাঝিরা।
দর্শনার্থী ইয়ামিন সরকারসহ স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বিলের পানি বেড়েছে। গত সোমবার থেকে ডুবে যায় সেতুটি। তবুও ডুবে যাওয়া দৃষ্টিনন্দন সেতুটি দেখতে আগ্রহের কমতি নেই দর্শনার্থীদের।বুধবার বিল পাড়ের কোল ঘেঁষে নির্মিত দোকান-পাট, পুলিশ ফাঁড়িসহ আঁকা-বাঁকা কাঠের সেতু পানিতে ডুবে যায়।
ঘুরতে আসা দর্শনার্থী শামীম হোসেন বলেন, জাতীয় উদ্যানে দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু দেখতে এসেছি। কিন্তু সেতুটি পানিতে ডুবে গেছে তা জানতাম না। অনেকে সেতুটি দেখতে নৌকা ভাড়া করে যাচ্ছে। সেখানে নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আমি যাইনি।
নবাবগঞ্জ শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান জানান, আশুড়ার বিলে ও কাঠের সেতুতে দর্শনার্থীদের পানি না কমা পর্যন্ত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে বিলের পাড়ে বসবাস করা কিছু প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই দর্শনার্থীদের নৌকায় করে ভ্রমণ করছে শুনেছি।
দর্শনার্থীরা যেন আশুড়ার বিলে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা ভ্রমণ না করেন, সেজন্য শুক্রবার বিলের চারিদিকে জনসচেতনতামূলক পোস্টার ও ব্যানার লাগানো হয়েছে। তবে আশুড়ার বনে দর্শনার্থী দেখতে আসছেন। এখানকার পানি কমতে আরও কয়েকদিন লাগবে বলে জানান তিনি।