বুধবার , ৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বৃদ্ধার হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর পরকিয়ার জেরে শ্বাশুরীকে হত্যা করে মুকুল

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
নভেম্বর ৮, ২০২৩ ৩:০৩ অপরাহ্ণ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি\পঞ্চগগের দেবীগঞ্জ পৌর এলাকার মধ্যপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত কুপ থেকে বৃদ্ধা চিন্তা ঋষির (৬৬) মরদেহ উদ্ধারের ৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মৃতা বৃদ্ধার জামাই মুকুল চন্দ্র রায়কে (৩৬) গ্রেফতারসহ হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো ছুরিসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই বৃদ্ধা মরদেহ উদ্ধারের পর ওই পরিবারের ৫ জন সদস্যকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। তাদের ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদে মুকুল চন্দ্র রায় স্বীকারোক্তি প্রদান করে। গ্রেফতারকৃত মুকুল পার্শ্ববর্তি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম চন্ডীহাটী গ্রামের মৃত খগেশ্বরের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ কার্যালয়ের হলরুমে প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য জানান পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) কনক কুমার দাস।
ব্রিফিং এ জানানো হয়, বৃদ্ধার মেয়ে রেনু ঋষির সাথে মুকুল চন্দ্র রায়ের বিয়ে হয় ৬/৭ বছর আগে। পরে রেনু জানতে পারে মুকুলের পূর্বের আরেকজন স্ত্রী আছে। এরপর রেনু স্বামী মুকুলকে তালাক দিলেও মুকুল স্ত্রীর সাথেই শ্বাশুরীর সাথে থাকত। এরই মধ্যে রেনু কাজের জন্য গাজীপুর গেলে সেখানে আল আমিন নামের এক ছেলের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিছুদিন পূর্বে রেনু তার প্রেমিক আল আমিনকে নিয়ে দেবীগঞ্জে এসে চিন্তা ঋষির বাড়িতে কয়েকদিন অবস্থান করে। ঘটনা জানতে পেরে মুকুল জলঢাকা থেকে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলার জন্য দেবীগঞ্জে চিন্তা ঋষির বাড়িতে এলে চিন্তা ঋষি তাদের দুজনকে গোপনে গাজীপুরে পাঠিয়ে দেয়। এ নিয়ে চিন্তা ঋষির সাথে মুকুলের কথা কাটাকাটি হয়। পরে মুকুল গাজীপুরে রেনু ঋষির কাছে চলে যায়। সেখানে রেনু ও তার প্রেমিক আল আমিনের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের দুইজনকেসহ চিন্তা ঋষিকে খুন করার হুমকি দিয়ে নিজবাড়ি জলঢাকায় চলে আসে। গত ৩১ অক্টোবর পরিকল্পনা অনুযায়ী মুকুল দেবীগঞ্জে চিন্তা ঋষির বাড়িতে আসে। সেখানে অবস্থান করে পরদিন ১ নভেম্বর রাতে পুজার ঘরের টিনের বেড়ায় থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় নির্মমভাবে চিন্তা ঋষিকে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর চিন্তা ঋষির নাতনি জামাই নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামের দেবদাস ঋষির ছেলে মহাদেব ঋষির সহাযোগিতায় লাশ গুম করে ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য মরদেহ বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত কুপে ফেলে সেখানে মাটিচাপা দেয়। ঘটনার প্রেক্ষিতে দেবীগঞ্জ থানায় আসামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

পঞ্চগড়ে সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় ভোগান্তিতে কয়েক হাজার মানুষ

ঠাকুরগাঁও-৩ উপনির্বাচন: কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

আওয়ামীলীগের মত লুটপাট করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না —– বিএনপি নেতা পিনাক চৌধুরী

ঠাকুরগাঁও পৌরসভা পরিদর্শন করলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম

হরিপুর-ধীরগ›জ সড়কে এক মাস ধরে বসে আছে মধ্য বয়সী এক নারী

শিশুস্বর্গের এক যুগ পূর্তিতে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ও শিশুদের শীতবস্ত্র উপহার

বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৮জন গ্রেপ্তার

ঠাকুরগাঁওয়ের দুর্নীতি বিরোধী স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা

রাণীশংকৈলে কর্মকর্তাদের সাথে প্রতিবন্ধি ব্যক্তি অন্তভ’ক্তি কর্মশালা

বীরগঞ্জ মডেল প্রোসক্লাবের সাথে সুধী সমাজের মতবিনিময় সভা