বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌর বাজারে রোজার শুরুতেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের পাশাপাশি ইফতার সামগ্রীর মূল্যর দাম বেশ চড়া। দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বাজারের ফর্দিতে মেলাতে পারছেনা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর চাহিদা।
রজমানের শুরুতেই গত ১২ ও ১৩ মার্চ মঙ্গলবার ও বুধবার উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌর কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজী গরুর মাংস ৮০০ শত টাকা, খাসির মাংস ৯৫০টাকা, দেশি মুরগী ৬শত টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩৫০ টাকা, বয়লার ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা রমজানের পূর্বেই দাম ছিল অনেকটাই কম।
অপরদিকে মাছের বাজারও রয়েছে চড়া প্রতি কেজি মাছের দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। এমনি ভাবে কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন ৭০ টাকা, দেশী আলূ ৫০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ভেন্ডি ৮০ টাকা, লেবু হালি প্রতি ৭০ টাকা। এছাড়াও মসলা, ছোলা, বেশন, চিনির দাম বেড়েছে। ইফতারির বাজারেও পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে। বিশেষ করে খেজুরের দাম ১২ শত টাকা থেকে ৪শত টাকা পর্যন্ত প্রতিকেজি। আগে যেমন ৩জনের পরিবারের ১শত টাকা ইফতার দিয়ে চলতো এখন সেখানে ২শত টাকা লাগছে। রমাজান মাস আসলে এখানকার সুযোগ সন্ধানি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয় তাদের ইচ্ছে মত। এই মূল্য বৃদ্ধিতে সংসার পরিজন নিয়ে দুঃশিন্তায় কাটছে দিন মজুর সহ খেটে খাওয়া মানুষ। এই তালিকায় মধ্য বিত্তরাও বাদ যায়নি। তাদেরও হিসাব করে চলতে হচ্ছে।
বাজার নিয়ন্ত্রনে ভোক্তা অধিদপ্তরের নিয়মিত নেই কোন নজরদাড়ী। বছরে দুই এক দিন দৌড়ঝাপ করেই শেষ করছে তাদের দায়িত্ববোধ। সরকার যেখানে বাজার নিয়ন্ত্রনের আপ্রান চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সামগ্রিতে ভুর্তিকি দিচ্ছে সেখানে স্থানীয় পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাগন বাজার নিয়ন্ত্রনে কোন ভুমিকা রাখছেনা। বাজারের বিক্রেতারা নিজেদের খেয়াল খুশিমত বাড়িয়ে দিচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয দব্রোর দাম।
উপজেলা পর্যায়ে পৌরসভা, উপজলো নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভুমি) প্রতিনিয়তি বাজার মনিটরিং করলে হয়তো বা টেনে ধরা সম্ভব হবে দ্রব্যের মূল্যের লাগাম।