দিনাজপুরের উত্তর শিবপুর গ্রামের খাষ জলমহলকে কেন্দ্র করে আশ্রায়ন প্রকল্পের ভুমিহীন অসহায় পরিবার গুলোর উপর জুলুম নির্যাতনের প্রতিবাদে দিনাজপুরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে উত্তর শিবপুর জনসংগঠন ও দিনাজপুর সদর উপজেলা ভুমিহীন সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে এবং কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (সিডিএ) দিনাজপুর‘র সহযোগীতায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে মো: রাজু মিঞা‘র পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে মোছা: শিরিনা বেগম বলেন,১৯৮৮-১৯৮৯ সাল থেকে দিনাজপুর সদরের ২ নং সুন্দরবন ইউপি‘র ৬ নং ওর্য়াডের শিবপুর গ্রামের রিন পুকুর পাড়ের জেএল নং ১৭ অর্ন্তরগত ১ নং খাষ খতিয়ানভুক্ত ৭৬২/১০৩৬ নং দাগের ৪ দশমিক ৮২ একর সম্পত্তিতে ২৫টি ভুমিহীন পরিবার বসবাস করছে।এরিমধ্যে ২০২৩ সালের ৪ঠা মার্চ বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গড়া আশ্রায়ন প্রকল্পের অধিনে ২০টি পরিবারকে সেমিপাকা ঘর নির্মান করে দেয়া হয়েছে। আশ্রায়ন প্রকল্পের উদ্ধোধনের সময় সহকারী কমিশনার ভুমি বলেছিলেন, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী রিন পুকুরের ৯৩৮/১০৩৫ দাগের ৩ দশমিক ৮৬একর জমি এখানে বসবাসরত ভুমিহীন পরিবারগুলোই ভোগদখল করবে। মাছে ভাতে বাঙ্গালী এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং আমিষের চাহিদা মেটাতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতি মোতাবেক সাংগঠনিকভাবে রিন পুকরটি ভোগদখল করতে চাই। এব্যাপারে আমরা জলমহলটি বরাদ্ধ পেতে সরকারের বিভিন্ন দফতরে চেষ্টা তদবির ও যোগাযোগ শুরু করলে স্থানীয় লাঠিয়াল বাহিনীর সন্ত্রাসী ইসমাইল,রেজওয়ান,গুলজার,রুহুল,সাদেক মিজান,মাসুদ রায়হান ও মুন্নাসহ তাদের সন্ত্রাসীরা আমাদের শাররিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার,নির্যাতন,প্রাননাশের ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে। এরপর তারা আমাদেরকে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর থেকে উচ্ছেদের জন্য হামলা করে কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে। এব্যাপরে থানায় মামলা করলে তখন পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি তবে এসংক্রান্ত মামলা আদালতে চলমান। অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে,পুকুর ও জমি স্থায়ীভাবে দখলের উদ্দেশ্যে প্রাননাশের হুমকি ধমকি দিয়ে ভুমিহীনদের বসতি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে সন্ত্রাসীরা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পুরুনে খাষ জমি ও জলমহলে ভুমিহীনদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও রিন পুকুরটি পূর্ণাঙ্গ ভোগদখলের জন্য দাবী জানান তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মো: ফজলুল হক মোল্লা,মো: হাবিবুর রহমান,শ্রী হরিষ চন্দ্র রায় প্রমুখ।