পঞ্চগড় প্রতিনিধি
দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে ত্রাহি অবস্থা মানুষসহ প্রাণিকুলের। প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। একটু বৃষ্টির আশায় চলছে মাতম। বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে ইস্তিসকার নামাজ। এদিকে ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়াসহ বিদ্যমান প্রচন্ড খরায় পুড়ছে ফসলের খেত। নিয়মিত সেচ দিয়েও ফসল রক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষক। এই বিপর্যয়ের মধ্যেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও এবং দিনাজপুর অঞ্চলের এলএলপি সেচ প্রকল্পগুলো সচল রয়েছে। নদীর পানি উত্তোলন করে তারা সেচ প্রদান করছে প্রকল্প এলাকার খেতে। এতে করে প্রকল্প এলাকার নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেচ দিতে পারায় হাফ ছেড়ে বেঁচেছে কৃষকরা। অন্য কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে ভালোভাবেই তাদের উৎপাদিক ফসল ঘরে তুলতে পারবেন এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নদীর পানি প্রবাহ অনেক কমে গেলেও বৃহত্তর দিনাজপুরের বেশ কয়েকটি সেচ প্রকল্প এখনো চালু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে পঞ্চগড় জেলার আহম্মদনগর ২ ও ৩ হালকা সেচ প্রকল্প, ইলেকট্রিক বøক এলএলপি-৩, ঠাকুরগাঁও জেলার খড়িবাড়ি হালকা সেচ প্রকল্প এবং দিনাজপুর জেলার গৌরীপুর হালকা সেচ প্রকল্প-২, ইলেকট্রিক বøক এলএলপি-৪, ৫ ও ৬ চালু থাকায় নিয়মিতভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রকল্পভ‚ক্ত কৃষকদের বোরো ধান ক্ষেতসহ অন্যান্য ফসলে সেচ প্রদান করা হচ্ছে।
জেলার বোদা উপজেলার ফুলতলা এলাকার আহম্মদনগর-৩ হালকা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা দলের সভাপতি রফিজ উদ্দিন জানান, আমাদের আশপাশের এলাকায় পানি স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ার কারণে অনেক গভীর নলকুপ বন্ধ রয়েছে। এতে করে সেচ দিতে না পারায় উঠতি বোরো ধান নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন অনেক কৃষক। কিন্তু আমাদের সেচ প্রকল্পটি চলছে করতোয়া নদী থেতে পানি উত্তোলন করে। তাই আমাদের প্রকল্পভূক্ত এলাকার কৃষকরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে জমিতে সেচ প্রদান করতে পারছে। আর আমাদের সেচ খরচ অনেক কম হওয়ায় কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠাকুরগাঁও এর উপ প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিউল বারী জানান, নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় অনেক সেচ প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেচ পাম্পগুলোও অকেজো হয়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এগুলো মেরামত করে বৃহত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তীব্র তাপদাহের মধ্যে পানি স্তর নেমে গেলেও এসব প্রকল্প থেকে উপকার পাচ্ছে উপকারভোগিরা।