কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ কাহারোলে অল্প বৃষ্টিতেই পাকা সড়কে হাটু পানি। জন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সকল শ্রেণি ও পেশাজীবি মানুষ। এ বিষয়ে দেখার ও বলার কেউ নেই। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা সদরে প্রাণকেন্দ্র দশমাইল আমতলা মোড়ের উত্তর দিকে কাহারোল-বোচাগঞ্জ উপজেলা যাওয়ার একমাত্র পাকা সড়কের আমতলা সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড় ভ্যান, অটো, সিএনজি ও ট্যাম্পু ষ্ট্যানের সড়কের অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে গিয়ে হাটু পানি লেগে থাকতে দেখা যায়। সড়কের উপরে পানি জমে থাকার ফলে হাজারো জনগণ ও যানবাহন চলাচলে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে বৃষ্টি হলেই। বৃষ্টির পানি পাকা সড়কের উপর জমে থাকায় সাধারণ পথচারিদের চলাচলেও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। পাকা সড়কের উপর পানি জমে থাকায় পথচারীরা অনেকই বিভিন্ন মন্তব্য করে বলেন, সড়কের উপর পানি জমে থাকা বিষয়টি দেখে মনে হয় এ বিষয়ে দেখার ও বলার কেউ নেই। এই পাকা সড়কের পশ্চিম পাশে^র উত্তর-দক্ষিণে পানি নিষ্কাশনের জন্য রিং ¯øাব দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করলেও তা ক্রমে ক্রমে ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি ওই ড্রেন দিয়ে পানি যেতে পারছে না। জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর(এল.জি.ই.ডি) ২০০৫-২০১২ সালের মধ্যে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করে নির্মাণ করেন পানি নিষ্কাশনের রিং ¯øাবের ড্রেনটি। নির্মাণের কয়েক বছরের পর থেকে ড্রেনের মধ্যে ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন আর ওই ড্রেন দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। এদিকে পাকা সড়কের বৃষ্টির পানি জমে থাকার বিষয়টি নিয়ে গত ২৭ জুন‘২৪ ইং তারিখে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর(এল.জি.ই.ডি)‘র উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ আহমেদের সাথে তার দপ্তরে সড়কে বৃষ্টির পানি দীর্ঘক্ষন জমে থাকা ও জনদুর্ভোগের বিষয়ে কথা হলে তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান, বিষয়টি আমাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম মহোদয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অবগত করেছেন। তিনি আরোও বলেন, পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণ ও রাস্তাটি সিসি ঢালাইয়ের আওতায় কাজ করতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মতো ব্যয় হতে পারে। তবে অতি দ্রæত এর কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। কারণ হলো আমরা প্রথমে কাজের প্রাক্কলন তৈরি করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এল.জি.ই.ডি) তে প্রেরণ করতে হবে এর পর তা প্রাক্কলনটি অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণ এবং পাকা সড়কের কাজ করা সম্ভব হবে।