বেলান নদীতে পড়ে নিখোঁজ দুইজনের লাশ উদ্ধার

খানসামা ও চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি\ দিনাজপুরের খানসামায় বেলান নদীর ওপর নির্মিত রাবারড্যাম দিয়ে পাড় হওয়ার সময় পা ফসকে নদীতে পড়ে বঙ্কেশ্বর চন্দ্র রায় ওরফে বঙ্ক ও জয়ন্ত রায় নামে দুই দিনমজুর নিখোঁজ হন।
পরে ডুবুরিদল শনিবার দিবাগত সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্কের লাশ উদ্ধার করে এবং রবিবার দুপুরে আরেকজন জয়ন্ত রায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার বিকাল ৩টার দিকে খানসামার ভাবকী ইউনিয়নের আগ্রা গ্রামের বাঘার মোড় নামক স্থানে বেলান নদীতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
মৃত বঙ্কেশ্বর চন্দ্র রায় ওরফে বঙ্ক (৩৫) খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের আগ্রা গ্রামের পাইকারপাড়ার তরণী কান্ত রায়ের ছেলে ও দুই সন্তানের জনক এবং জয়ন্ত রায় (২৫) ওই এলাকার জিতেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো দিনমজুরির কাজে যান বঙ্ক ও জয়ন্ত। কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে বঙ্ক ও জয়ন্ত রাবারড্যাম পাড়ি দেয়ার সময় পা ফসকে তারা বেলান নদীতে পড়ে তলিয়ে যান। এসময় স্থানীয় লোকজন ওই নদীতে নেমে তাদের সন্ধান করতে থাকে। অনেক চেষ্টা করেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায় না। পরে খানসামা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশে বিষয়টি অবহিত করেন।
খানসামা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা আবু সায়েম জানান, সংবাদ পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করি। রাবারড্যামের কারণে নদীতে স্রোত বেশি ছিল। এ কারণে উদ্ধার কাজে ব্যাঘাত ঘটে। তবে রংপুরের ডুবুরিদল খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বেলান নদীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্কের লাশ উদ্ধার করে এবং রবিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ডুবুরিদল আবারও নদীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে জয়ন্তর লাশ উদ্ধার করেন।
ভাবকী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিন জানান, উদ্ধার হওয়া মরদেহ দাহকার্যের জন্য পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো. মোজাহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর পানিতে ডুবে নিহত দুই দিনমজুর পরিবারকে দাহকার্যের জন্য পরিবার প্রতি ২০ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়েছে।
ভাবকী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিন বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হওয়া নিহত ব্যক্তি বঙ্ক রায়ের দাহকার্য সম্পন্ন হয়েছে এবং রবিবার দুপুরে উদ্ধার হওয়া জয়ন্ত রায়ের মরদেহ দাহকার্যের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।