শুক্রবার , ২ আগস্ট ২০২৪ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শোকাবহ আগস্টে হাবিপ্রবিতে মাসব্যাপী কর্মস‚চি গ্রহণ

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
আগস্ট ২, ২০২৪ ৯:২২ অপরাহ্ণ

আগস্ট মাস বাঙালি জাতির জীবনে শোকের মাস। ১৫ আগস্ট গভীর শোকাবহ একটি দিন তথা জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এ দিনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী চক্র নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ইতিহাসের মহানায়ক, শত সহস্র বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। হত্যা করেছে মহিয়সী নারী, জাতির পিতার প্রিয় সহধর্মিনী, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের চালিকাশক্তি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব, জাতির পিতার প্রিয় সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ২৬ জন নিকটাত্মীয়কে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৯তম শাহাদত বার্ষিকীতে এবং জাতীয় শোক দিবস ২০২৪ খ্রী. যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে মাসব্যাপী কর্মস‚চি গ্রহণ করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। এর অংশ হিসেবে শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিনে (০১ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান এর নেতৃত্বে বিভিন্ন অনুষদের ডীনবৃন্দ, জাতীয় দিবস পালন কমিটির সদস্যবৃন্দ, পরিচালক, হল সুপারসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ডিজিটাল কালো ব্যাজ প্রদর্শন ও মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক শোক বার্তা প্রকাশ করা হয় এবং সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপ‚র্ণ স্থানসম‚হে ব্যানার স্থাপন করা হয়। শোক বার্তায় মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, আজ শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন। ১৯৭৫ সালে এ মাসের ১৫ তারিখে বাঙালি জাতি হারিয়েছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এ দিনটি মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাÐের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধুর এক শোকের দিন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট নরপিশাচরূপী খুনিরা শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এ বর্বরতায় বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধ‚ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতার ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী শাহাদত বরণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করেছিল। ১৯৯৬ সালে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে এ বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়। নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত