গত ২৪ আগস্ট দিনাজপুর প্রেসক্লাব সংবাদ সম্মেলন কক্ষে শহরের বালুবাড়ী এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আগা খাঁন এর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভূমি দখল, ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছিল তারই ছোট ভাই মৃত. আজম খানের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী খন্দকার রুমানা ফেরদৌস। আগা খান এই সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন মৃত আজম খানের বড় ভাই মো. আগা খান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি জেলা শহরের একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। আমার ছোট ভাই মৃত আজম খান ২০২০ সালে রংপুর প্রিজন সেলে সিভিল জেলখানায় থাকা অবস্থায় মারা যান। শহরের মালদহপট্টি উত্তরা ব্যাংক শাখায় আজম খানের ১১ কোটি ৭১ লাখ টাকার লোন ছিল। সেই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে ক্লাসিফাইড হয়। আমার বাড়ির পাশে অবস্থিত তার ১৬৪ শতক সম্পত্তি ও শহরের রাজবাটিতে অবস্থিত ১৯৯ শতক সম্পত্তি এবং অটোমেটিক রাইস মিল দিনাজপুর যুগ্ম জেলা জজ আদালত হতে ২০২১ সালের পর পর তিনবার নিলাম হয়। প্রথম ও দ্বিতীয়বার নিলামে খরিদ্দার পাওয়া যায় নাই। তৃতীয়বার আমি এবং আজিজুল ইকবাল চৌধুরী বৈধভাবে নিলাম খরিদ করি। আমরা সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছি।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, নিলামের সম্পত্তি সম্পর্কে দেশের সর্বোচ্চ বিজ্ঞ আদালত হতে যে আদেশ আসবে সেই আদেশ আমি বা আমার সাথে সংশ্লিষ্ট যারা তারা মানতে বাধ্য। বাধ্য না থাকবার কোনো কারণ নেই। জোর করে কেউ কারো সম্পত্তির মালিক হতে পারে না। রুমানা ফেরদৌসী এপিলেট ডিভিশন পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ে জিতলে আমরা সকলে জমির দখল ছেড়ে দিব।
আমি আগা খান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও আদর্শের প্রতিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ দেশের সচেতন ছাত্র সমাজের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মো. ইয়াসিন কবির, রক্তিম বসাক, রাকিবুল ইসলাম, সুলতান বাচ্চু।