রবিবার , ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাহারোলে বন বিভাগের রেঞ্চ অফিস ও কোয়াটারগুলো জরাজ্জ্বীর্ণ।। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দূঘটনা

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪ ১০:৩৫ অপরাহ্ণ

কাহারোল(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ কাহারোলে বন বিভাগের অফিস ও কমকর্তা কর্মচারীদের বাস ভবন-প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে সরকারি কার্যক্রম ও বসবাস। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূঘটনার মতো ঘটনা। এসব সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো মাথা ব্যাথা। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা সদরে (কাহারোল-বীরগঞ্জ) যাওয়ায় পাকা সড়কের পূর্ব পাশের্^ অবস্থিত উপজেলা বন বিভাগের অফিসটি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বন বিভাগের অধীন উপজেলা রেঞ্চ অফিসের অবস্থা এত সুচনীয় ও চরম জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে ভবনটি। ঝুঁকিপূর্ণর মধ্যে দিয়েও জীবন বাজি রেখে কাহারোল এস,এফ,এন,টি,সি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসের কাজকর্ম করতে দেখা যায়। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্মানকৃত কোয়াটারগুলো এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশে ভেঙ্গে পড়েছে আবার কোনো কোনো কোয়াটার বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় তা পরিত্যক্ত হিসেবে ও পড়ে রয়েছে। যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ^াস হবে না যে এতো খারাপ অবস্থা অফিস ও কোয়াটার গুলোর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম (হেলাল) এর সাথে এ প্রসঙ্গে কথা হলে তিনি জানিয়েছেন এই অফিস ও কোয়াটারগুলো এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ১৯৮৩ সালের দিকে প্রতিষ্ঠা বা নির্মাণ করা হয়েছে। নিমার্ণের পর আমার জানামতে কয়েকবার হালকা-পাতলা সংস্কার ও রঙের কাজ করা হয়েছে। অত্র অফিস ও কোয়াটার নির্মাাণে আমার পক্ষ থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। কিন্তুু আজ পর্যন্ত অফিস বা কোয়াটার নতুন ভাবে নির্মাণ না হওয়ার কারণে আমি যে কক্ষে বসে সরকারি অফিসিয়াল কাজকর্ম করে থাকি সেই কক্ষের উপরের দিকের ছাদের প্লাষ্টার ইতোমধ্যে খুলে পড়ে এবং রড বের হয়ে ছিল। যে কোনো মহুর্তে ধসে পড়তে পারে বলে আংশঙ্কা থাকায় স্থানীয় ব্যক্তি পর্যায় অফিস চালানোর স্বার্থে অল্পকিছু সংস্কার করা হয়। এদিকে উপজেলার সচেতন মহলের কয়েকজন ব্যক্তি জানান, এই উপজেলার বন বিভাগ থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকলেও উপজেলা বন বিভাগের অফিস ও কোয়াটারগুলো নতুনভাবে নির্মাণ না করার ফলে এখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে তাদের দায়িত্ব-কতব্য পালনের পাশাপাশি পরিবার পরিজন নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিনা-পাতি অতিবাহিত করছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন। উল্লেখ্য যে, এ বন অফিস হতে বীরগঞ্জ ও বোচাগঞ্জ এস,এফ,পি,সি নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত