দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় হিন্দু পরিবারের বাড়ী-ঘর ভাংচুর এবং লুটপাট অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে কনেশ্বর রায়।
ঘটনাটি গত ১৬সেপ্টেম্বর বিরল উপজেলার রাজারামপুর ইউনিয়নের ছেতারা বাজার এলাকার বাসিন্দা কালিপদ রায়ের ছেলে কনেশ্বর রায়ের বাড়িতে ঘটেছে। এঘটনায় অসহায় কনেশ্বর রায় ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এতে কনেশ্বর রায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সবিতা রায়।
লিখিত বক্তব্যে কনেশ্বর রায় উল্লেখ করেন,তাঁর পৈতৃক সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে ইউসুফ পাটোয়ারীর সাথে জমি নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। এর আগে এ নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বসা হলেও বিষয়টি অমিমাংসিত থেকে যায়। কিন্তু এরই মধ্যে ইউসুফ পাটোয়ারী ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে জমিটি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ওমর আলীর কাছে বিক্রি করে দেন। এরপর তারা তার পরিবারকে ভারতে চলে যেতে বলে নইলে তাদের কথা মতো চলতে বলে। এতে রাজি না হওয়ায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাইমুনসহ ৪০-৫০জন গুন্ডাপান্ডা তার বাড়ীতে গিয়ে দোকান ঘর, বাড়ীর আসবাবপত্র, ঠাকুরঘর, গোয়ালঘর, টিউবওয়েলখানাসহ ঔষধের দোকান, মুদিখানা, ঠাকুরের মালীর দোকান ভাংচুর করে। এসময় ঘরে রাখা ট্রাংকে থেকে তালা ভেঙ্গে ট্রাংকের যাবতীয় কাগজপত্র, দলিল, সোনার গহনাসহ ৫ আগষ্টের সরকার পতনের পর আতংকে নিজ গরু-ছাগল বিক্রয়ের টাকা, জমি আবাদের টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন কনেশ্বর রায়। এরপর থেকে নিঃস্ব হয়ে খোলা গাছতলায় পরিবার পরিজন নিয়ে দিন যাপন করছেন তিনি। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মায়া বালা, চম্পা রানী, রাম বাবু, দীনবন্ধু প্রমুখ।