বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানায় গত ১৪ অক্টোবর দায়ের করা ভাংচুর ও মারধর মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদীর পরিবারের লোকজন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভাংচুর ও মারধর মামলার বীরগঞ্জ থানার মামলা নম্বর ৮ তারিখ ১৪ অক্টোবর’২০২৪- এর বাদী ও সাক্ষী
সৈয়দপুর কল্যাণীর স্থায়ী বাসিন্দা মৃত দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মোঃ
আবু তাহের। এ সময়ে তিনি বলেন,
তারা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র তৃণমূলের কর্মী।
তাদের দলের সভাপতি এবং কয়েকজন নেতাকর্মীর পরামর্শে ও চাপের মুখে ২০২৩ সালের ঘটনায় সাবেক এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল, ইয়াসিন আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম এ খালেক সরকার, রবিউল ইসলাম এবং রফিকুল ইসলামসহ ৮/১০ জনের নাম উল্লেখ করে এজাহারে স্বাক্ষর করেছি। তিনি আরও বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ওই এজাহারে অজ্ঞাতসারে আমার আত্মীয়-স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের জড়িয়ে ৬৭ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ জন উল্লেখ করা হয়েছে, যাহা মোটেও কাম্য নয় এবং এহেন জঘন্যতম কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আমি আমার সঙ্গীয় এবং দলীয় লোকজনের দ্বারা প্রভাবিত ও প্রতারিত হয়েছি, তাই উক্ত মামলা প্রত্যাহার করার জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগনসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীর সহযোগিতা কামনা করছি।
আমি স্বল্প শিক্ষিত একজন গাম্য সহজ সরল অতি সাধারণ মানুষ হওয়ায় আমাকে ব্যবহার করে এবং আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে অনেকে তাদের দলীয় হীনস্বার্থ হাসিল করতে চায়, ইহা আমার বিবেকে জাগ্রত হওয়ায় আমি আমার দ্বারা বীরগঞ্জ থানায় উদ্ভব হওয়া ৮ নম্বর মামলাটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিলাম।
আমার সাথে উপস্থিত আছেন উক্ত মামলার সাক্ষী মোঃ হাফিজুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনকারী আবু তাহের আরো বলেন, মামলাটিতে এলাকার অনেক স্বনামধন্য নিরোপরাধ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু হোসাইন বিপু, সাবেক মেয়র মোশারফ হোসেন তার পুত্র ও ভাতিজাদেরকে উল্লেখ করায় আমি দুঃখিত ও মর্মাহত।
সঙ্গত কারণ দৃষ্টে তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করতে সকলের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।