কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার আবাদি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটির একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে ইট ভাটায়। অর্থাভাবে জমির মালিকরা সল্পমূল্যে জমির উর্বর মাটি বিক্রি করছে ইট ভাটায়। এতে জমিতে উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় ৪০ শতাংশ হ্রাস পাঁচ্ছে বলে উপজেলা কৃষি বিভাগ মনে করছেন। কিন্তু গবেষকদের আশঙ্কা বাস্তবে জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে আরো অনেক বেশি। ফলে কৃষি ও পরিবেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুক্ষিন হচ্ছে।
উপজেলার সকল কৃষক পুনিল চন্দ্র রায় বলেন উপরিভাগের জৈব উপাদান থাকলেও মালিকরা জৈব উপাদান যুক্ত মাটি বিক্রি করায় স্বাভাবিক উৎপাদন কমতে শুরু করেছে। এই কারণে উপজেলায় আমন, বোরো রবিশস্য উৎপাদন দিন দিন হ্রাস পাঁচ্ছে। জানা গেছে গ্রামের দরিদ্র কৃষকেরা অর্থাভাবে আবার কেউ কেউ সচেতনতার অভাবে ফসলি জমি উর্বর মাটি উট ভাটায় বিক্রি করছেন। উপজেলা কৃষি গবেষকরা জানান, কৃষি জমির উর্বর অংশ ক্ষুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ভাবে কৃষি জমির টপ সয়েল উঠে গেলে আগামীতে ফসল উৎপাদন মারাত্মক ভাবে ব্যহত হয়ে উৎপাদন কমে যাবে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী শেহানবীশ বলেন, ফসলি জমির উপরিভাগ ১০ থেকে ২০ ইঞ্চি পরিমান মাটি উর্বর। এই মাটির সাথে জৈব উপাদান রয়েছে। ফসলি জমিতে ৫ শতাংশ জৈব সার থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে আছে মাত্র ১শতাংশ। তিনি আরো জানান, কৃষকেরা ক্ষতির বিষয়টি না জেনে টাকার লোভে ফসলি জমির উর্বর মাটি বিক্রি করছেন। আর কৃষি জমির মাটির বিক্রয় বিষয়টি আমরা সবসময় নিরুৎসাহিত করে থাকে।