প্রায় ১৭০ বছরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিনাজপুর মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল(বাংলা স্কুল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন দিনাজপুর পৌরসভা কর্তৃক পরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা সুদীর্ঘ সময় ধরে সরকারী স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বেতন-ভাতাদিসহ সকল সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছিলেন যদিও বর্তমানে প্রায় ৩০ মাসের বেতন ভাতাদি বকেয়া থাকার কারণে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
রবিবার দিনাজপুর মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল(বাংলা স্কুল) এর প্রধান শিক্ষক মোঃ নেজামুল ইসলাম ও অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীরা জানায় দিনাজপুর পৌরসভার প্রশাসকের সভাপতিত্বে গত ২২/১০/২০২৪ ইং তারিখের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন যে “দিনাজপুর মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল (বাংলা স্কুল) এর শিক্ষক-কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পৌরসভা কর্তৃক প্রদেয় বেতন ভাতাদির অংশ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি: হতে পৌরসভার রাজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করা যাবে না, পূর্বের বেতন ভাতাদির (চিত্ত বিনোদন ভাতা বাদে) বকেয়া অংশ পৌরসভার আর্থিক স্বচ্ছলতা সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।” উক্ত সিদ্ধান্তকে বাতিলকরণের লক্ষে শিক্ষক-কর্মচারীগন মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে ১৩৯২৯/২০২৪ রীট পিটিশন দাখিল করলে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতিদ্বয় উক্ত বিষয়ের উপর ৩ সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়ে রুুল নিশি জারী করেন। মহামান্য হাইকোর্টের ১৩৯২৯/২০২৪ রীটের উক্ত রুুল নিশি গত ২২/১২/২০২৪ তারিখে পৌরসভার অফিস কর্তৃক গৃহিত হওয়ার পর শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতাসহ বিদ্যালয়ের খরচাদির চেকে প্রশাসক পদাধিকার বলে সভাপতি হওয়া সত্বেও স্বাক্ষার করছেন না। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীগন বেতন ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এবং এভাবে চলতে থাকলে বিদ্যালয়টির শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়ন ব্যহত হতে পারে। উল্লেখ্য, বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হওয়াতে দিনাজপুর পৌরসভার দীর্ঘ দিন ধরে আর্থীক সাশ্রয় হয়ে আসছে।