রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে শনিবার (৩মে) সন্ধ্যায় ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন বলেন, বাঙ্গালী জাতির সংস্কৃতি ধারণ করে তা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। হিন্দি গানের সাথে বাংলার বৈশাখ হয়না এটা বুঝতে হবে। তিনি আরো বলেন,এ মেলায় সকলের সম্পৃক্ততা নেই। আমার কাছে মনে হয়েছে এ মেলাটা কেন জানি একটা বিএনপি’র মেলা, আমি এটা প্রত্যাশা করিনি। বৈশাখী মেলা বাঙ্গালীর মেলা,রাণীশংকৈল বাসির মেলা। সার্বজনীন পাটিসিপেসন এখানে আমাদের কামনা করা দরকার ছিল,আগামিতে আমি আশা করবো মেলা উদযাপন কমিটি এ ভুলগুলো সংশোধন করবেন। এ মেলায় সকলের অংশগ্রহনে হিন্দু,মুসলিম,দলমত একত্রে করা উচিৎ।
বৈশাখ উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক পৌর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শাহাজাহান আলীর সভাপতিত্বে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি জাহিদুর রহমান জাহিদ, বিএনপি’র সহ-সভাপতি বৈশাখ উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক, খলিলুর রহমানের সঞ্চালানায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আতাউর রহমান, সম্পাদক আল্লামা ওয়াদুদ বিন নূর আলিফ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাণীশংকৈল থানার ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলাম রফিক, বৈশাখ উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক মুনতাসির আল মামুন মিঠু, উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি নূর নবী, মাহমুদুন নবী পান্না বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক, এম আর বকুল মজুমদার, যুবদলের আহŸায়ক অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মনি, পৌর যুবদলের আহŸায়ক, আক্তারুল ইসলাম আক্তার, মহিলা দলের আহŸায়ক, অধ্যাপক মুনিরা বিশ্বাস, সদস্য সচিব আনারকলি, নন্দুয়ার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জমিরুল ইসলাম
প্রেসক্লাব সম্পাদক খুরশিদ আলম,সাবেক সভাপতি মোবারক আলী, সভাপতি সফিকুল ইসলাম শিল্পী, হুমায়ুন কবির, অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক, অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক, রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গগত: ১০ দিনব্যাপী এ মেলায় বিভিন্ন স্টল পসরা বসেছে। স্টল গুলোতে মনোহরী সামগ্রী কেনার সুযোগসহ শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে নানা উপকরণ। মেলায় থাকবে সন্ধ্যা কালীন, সঙ্গীতা অনুষ্ঠান, নাটক, নৃত্যানুষ্ঠান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবৃত্তি অনুষ্ঠান, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মঞ্চ নাটক, জারি, সারি, ভাওয়াইয়া, পল্লীগীতির ও কবি গান।