শুক্রবার , ৯ মে ২০২৫ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে সাবেক তিন এমপি এবং তৎকালীন ডিসি-এসপিসহ ১৫৪জনের নামে মামলা \ তদন্ত সাপেক্ষে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ আদালতের

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
মে ৯, ২০২৫ ১০:০২ পূর্বাহ্ণ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি\পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫০) হত্যার ঘটনায় সাবেক রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, সাবেক এমপি নাঈমুজ্জামান ভ‚ইয়া মুক্তা, মজাহারুল হক প্রধান, তৎকালীন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, সাবেক পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদাসহ ১৫৪ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী শিরিন আক্তার। মামলায় আরও ৭-৮শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। গত সোমবার পঞ্চগড় অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করা হলে গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশকে এজাহারভ‚ক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারক সফিকুল ইসলাম। মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস ও এস এম সফিকুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, পঞ্চগড় সদর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিঞা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আল তারেক, আওয়ামী লীগ নেতা আবু তোয়াবুর রহমান, মোশারফ হোসেন ও আব্দুল লতিফ তারিন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত স¤্রাটের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নেতা ও তৎকালীন জেলা প্রশাসক, পুলিশের চার কর্মকর্তার পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও ইন্ধনে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় সময় বিএনপি নেতা আরেফিনের উপর হামলা ও তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে দলের অন্য নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা। ঘটনার পর থেকেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছিল আরেফিনের পরিবার।
পঞ্চগড় আদালতের পিপি আদম সুফি বলেন, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার অনুকূল পরিবেশ না থাকায় বাদী এখন তার স্বামীর হত্যা মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্ত পূর্বক এজাহার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও