কড়া নিরাপত্তায় উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর এ শহীদ বড় ময়দানে পবিত্র ঈদ উল আযহার ঈদ জামাতে লাখো মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায়ে সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় বৃহৎ এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দেশের বৃহৎ ঈদ জামাতে শান্তিপূর্ণ নামাজ আদায়ে নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এরই মধ্যে গোর-এ শহীদ ঈদগাহ বড় ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার নিমিত্তে বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসন প্রস্তুতিমুলক সভা করেছে। ঈদগাহ মাঠ নামাজের উপযোগী এবং দৃষ্টিনন্দন করতে রং-সহ বিভিন্ন কাজ সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
পুরো ইদগাহ জুড়ে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশসহ আইনশৃংখলার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। ঈদের দিন সকাল থেকে মুসুল্লিরা মাঠের প্রবেশ পথ দিয়ে আসবেন। প্রত্যেক প্রবেশ পথের গেট মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শুধুমাত্র জায়নামাজ ও ছাতা নিয়ে প্রবেশ করবেন মুসুল্লিরা। থাকবে পর্যবেক্ষন টাওয়ার। অসংখ্য মাইক বসানো হচ্ছে। ওজু করতে যেন অসুবিধা না হয় এজন্য একাধিক ওযুখানা এবং পানির ব্যবস্থা রাখা হবে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২একর। ২০১৭ সালে নির্মিত ৫২গম্বুজের এ ঈদগাহ মিনার। এই ৫০গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ফুট। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ফুট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো মিনার সিরামিক্স ইট দিয়ে আচ্ছাদিত। প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। রাত হলেই ঈদগাহ মিনার আলোকিত হয়ে ওঠে। ২০১৭সাল থেকে প্রতিবছর ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। উপমহাদেশে এতবড় ঈদগাহমাঠ দ্বিতীয়টি নেই। এছাড়াও পর্যটকদের কাছেও এটি দর্শনীয়। বড়মাঠের নামাজের জন্য দৈর্ঘ ৮০০ ফুট এবং প্রস্থ ৮০০ ফুট এ আয়োজন করা হয়েছে।