মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
ঠাকুরগাঁও জেলায় এ বছর গমের আবাদ কিছুটা কমেছে। কৃষকেরা গত বছর গমের দাম কম পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। এ বছর ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে দেখা যায়; কৃষকেরা গম আবাদ না করে ভুট্টা চাষে ঝুকছেন বেশি। কারন গমের চেয়ে ভুট্টায় লাভ হচ্ছে বেশি। বর্তমানে ভুট্টার বাজারদর তুলনামূলক অনেক বেশি রয়েছে বলে জানা গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ -সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও জেলায় এ মৌসুমে গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় ৪৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭১ মেট্রিক টন। আবাদ হয়েছে ৪৫ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরে ছিল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ৪৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৩৮ মেট্রিক টন। ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের গড়েয়া, ফাড়াবাড়ী এলাকার কৃষক রওশেদ জানান, তিনি গত বছর সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে গম আবাদ করেছিলেন। ঐ বছর দাম তুলনামূরক কম পাওয়ায় এ বছর দেড় বিঘা (৭৫ শতাংশ) জমিতে গম আবাদ করেছেন। একই সাথে গম আবাদ কম করার কারন হিসেবে সার ও কীটনাশকের দাম তুলনামুলক বেশিকেও দায়ী করেন তিনি।
প্রায় সাড়ে ৪ বিঘা (২২৫ শতক) জমিতে গম করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার ভেলাজান মোলানী গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ। ইতোমধ্যে গমের ক্ষেত সবুজ আকারে রুপ নিয়েছে। নিয়মিত সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন তিনি। ফলন ভাল হওয়ার আশা করলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তিনি। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আবু হোসেন জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি গম আবাদ হতো ঠাকুরগাঁও জেলায় । কিন্তু গত বছর গমের দাম কম থাকায় কৃষকেরা এ বছর গমের আবাদ কিছুটা কম করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে ভুট্টার আবাদ বেড়েছে। গমের চেয়ে বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা ভুট্টা চাষে বেশি ঝুকছেন। ভুট্টার ফলনও ভাল হওয়ায় তারা দামও পাচ্ছে চাহিদামত। তার পরও কৃষকেরা গমের ন্যর্য মূল্য পাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।