এবারেও সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ জেলার ৬টি উপজেলায় আজ শুক্রবার (৬ জুন) ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিদের একটি অংশ। দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে, চিরিরবন্দর, কাহারোল, বোচাগঞ্জ, বিরল ও বিরামপুর উপজেলায় আগাম ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েকশ’ পরিবারের মানুষ ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন।
শুক্রবার (৬ জুন ২০২৫) সকাল ৮ টায় দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেন দিনাজপুর শহর ও শহরতলীর কয়েকটি এলাকার মানুষ। এই জামাতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ প্রায় ৩০০ জন মুসল্লি অংশগহণ করেন। এই জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মহেশপুর গ্রামে অবস্থিত ফ্যামিলি কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার প্রতিষ্ঠা পরিচালক ও
নবাবগঞ্জ উপজেলার মোহাজেরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
এছাড়া জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতারা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম, ফতেহজংপুর গ্রামে, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইলে, বিরল উপজেলার পশ্চিম বনগাঁ জামে মসজিদে, বোচাগঞ্জ উপজেলার
ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া দাখিল মাদরাসা মাঠে ও খয়ের বাড়ি দাখিল মাদরাসা মাঠে প্রায় ২০/২৫টি গ্রামের কয়েক’শ মানুষ আগাম ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন।
দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল আযহার নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুৎবায় একই দিন ঈদ ও কুরবানী করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সবাইকে একই দিনে ঈদ ও কুরবানী করার আহবান জানানো হয়।
পার্টি সেন্টারে ঈদুল আযহার নামাজ আদায়কারীদের কয়েকজন মুসল্লি জানান, দিনাজপুরে প্রথমে শুধু চিরিরবন্দর উপজেলায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু বর্তমানে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ আরো কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আগাম ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে মুসল্লিদের একটি অংশ। প্রথমে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ২০২৫ সালে এসে তা বেড়ে প্রায় হাজারে পৌঁছেছে।
বিরামপুরে ১০ গ্রামে ঈদ উদযাপন
বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরে দুই ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের মুসল্লি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। দুই জামাতে পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও নামাজ আদায় করেছেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ী-মির্জাপুরে এবং একই সময় আয়ড়া মোড় নুরুল হুদা মাদ্রাসা ঈদগাহ মাঠে জামাত দুটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই জামাতে ১০ গ্রামের প্রায় ২ শ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। খয়েরবাড়ী জামে মসজিদে মো. আবদুর রাজ্জাক এবং আয়ড়া মাদ্রাসা ঈদগাহ মাঠে মাওলানা মো. পারভেজ হোসেন জামাতের ইমামতি করেন।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো.মমতাজুল হক বলেন, বিরামপুর উপজেলায় জোতবানি এবং বিনাইল দুটি ইউনিয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুটি জামাতের প্রায় ২শ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।