গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট দেওয়ার পর আন্দোলনের মুখে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. মোসফেকুর রহমানকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে রিপোর্টের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামল চালায় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলার পর সেনাবাহিনীর গাড়ি আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ারে (এপিসি) করে গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এ নিয়ে সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত ফেসবুক দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. মোসফেকুর রহমান লেখেন, ‘ট্যাংকের এসি খুব আরামদায়ক শুনেছি’। সমালোচনার মুখে মোসফেকুর রহমান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেন। ততক্ষণে স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে মোসফেকুর রহমানকে প্রত্যাহার ও গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার রাত থেকে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতাকর্মীরা। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দিনাজপুর জেলা শাখার আহŸায়ক একরামুল ইসলাম আবির।
এই ঘটনার প্রতিবাদে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোসফেকুর রহমানের প্রত্যাহার ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। তাকে প্রত্যাহার করা হলেও গ্রেফতার না করা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত ডিআইজি (হেডকোয়াটার্স, অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিয়া মাসুদ করিম এক আদেশে মোসফেকুর রহমানকে ১৭ জুলাই পুলিশ সদর দপ্তরে রিপোর্ট করতে বলেছেন।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মারুফাত হোসেন বলেন, আমরা পোস্টটি দেখার পরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।